গ্রীষ্ম ও শীতে ত্বকের যথাযথ যত্ন নিলেও, বর্ষাকালে আমরা অনেকেই ত্বকের দিকে তেমন নজর দিই না। কিন্তু এই বর্ষাতেই ত্বকের যত সমস্যা বাড়ে
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ যথেষ্ট বেশি থাকে বর্ষায়। এই সময় ত্বকের ঠিক মতো যত্ন না নিলে, ত্বক হয়ে পড়ে রুক্ষ, নিস্তেজ ও প্রাণহীন। ব্রণ, ফুসকুড়ি ও অ্যালার্জির সমস্যা লেগেই থাকে
বর্ষাকালে ত্বকের প্রয়োজন একটু বেশি যত্ন। এর জন্য আপনার পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং বাড়ি বসেই আপনি ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। জেনে নিন বর্ষাকালের উপযুক্ত ৫ ঘরোয়া ফেস প্যাক
তিন টেবিল চামচ ওটসের সঙ্গে একটি ডিম মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে দুই টেবিল চামচ টক দই এবং এক চামচ মধুও মেশান ভাল ভাবে। কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখুন। তারপরে এই ফেসপ্যাক আপনার পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন
এক চামচ বেসনের সঙ্গে সামান্য হলুদ মেশান। এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখ ও গলায় লাগান এই পেস্ট। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন
বেসনে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণাবলী। যা ব্রণ নিরাময় করে এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া কমায়। লেবুর রস এবং হলুদ ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করে জেল্লা ফেরায়
দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে চার টেবিল চামচ ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। এই মিশ্রণে ১-২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট মিশ্রণটি বসতে দিন। পুরো মুখে সমানভাবে লাগান এই ফেস প্যাক। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন
মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে। ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বকের জেল্লা ফেরায়, পাশাপাশি ব্রণ এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমায়। টি ট্রি অয়েলও ব্রণ সারাতে দারুণ কার্যকর
এক টেবিল চামচ চন্দন পাউডারের সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। মুখে ও গলায় সমানভাবে লাগান এই ফেসপ্যাক। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন
চন্দন ত্বককে প্রশমিত করে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে। হলুদ ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে