নয়া দিল্লি: রাজধানীতে ঠান্ডার আমেজ। সরগরম সংসদ চত্বর। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2023) সবে শেষ করেছেন নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। কেমন হল বাজেট? শুরু হল গুঞ্জন। শাসক দলের সাংসদরা অসাধারণ বাজেট বলে রব তুললেন। সেই সময়েই সংসদ থেকে বেরোতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদদের। কী বললেন তাঁরা?
দিল্লির রাজনীতির অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মোদী সরকারের এবারের বাজেট অখুশি অনেক তৃণমূল সাংসদ। তাঁরা অখুশি, কারণ, অনেকেই নাকি সমালোচনার জায়গা পাচ্ছিলেন না। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখনও মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর বাজেট নিয়ে কোনও মন্তব্য আসেনি। অথচ তৃণমূল শিবির থেকেও যে সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদেরও তো প্রতিক্রিয়া দিতে হবে। কিন্তু কোন লাইনে, কী নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধবেন, বুঁঝে উঠতে পারছিলেন না অনেক সাংসদই। এ এক মহা বিড়ম্বনার বিষয়!
সংসদের সেন্ট্রাল হলে তখন বসে তৃণমূলের দুই প্রবীণ লোকসভা সাংসদ। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন, কী বলা উচিত সেই নিয়ে। আর তখনই সেন্ট্রাল হলে তাঁদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। ঘাসফুলের প্রবীণ দুই সাংসদকে দেখে দাঁড়িয়ে গেলেন সেখানে। হাসিমুখেই জিজ্ঞেস করলেন, কী? কেমন হল বাজেট? শুনে তৃণমূলের দুই সাংসদও ফিক করে হেসে ফেলেন। এক বাক্যে উত্তর এল, আমাদের বিরোধিতা করতেই হবে। এদিকে সময় আরও এগোতে জানা যায়, বাজেট শেষ হওয়ার পর অন্যান্য অনেক সাংসদই তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যান।
পরে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আসার পর, সবাই এক এক করে জোর গলায় মুখ খুলতে শুরু করেন। কিন্তু কারও মুখেই নতুন কোনও শব্দ নেই। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, সবাই কার্যত সেই বক্তব্যকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দেওয়া শুরু করে দেন। ততক্ষনে বোধ হয় সবাই জেনে গিয়েছেন, কী বলতে হবে।