নয়া দিল্লি: KYC-র ঝামেলা থেকে মুক্তি। আর বছর-বছর KYC দেওয়ার ঝক্কি পোয়াতে হবে না। এবার থেকে একবার KYC দিলেই হয়ে যাবে। বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেন, KYC প্রক্রিয়ার সরলীকরণ করা হচ্ছে। আর বছর-বছর KYC জমা দিতে হবে না। অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণায় অনেকটাই স্বস্তি পেতে চলেছেন সাধারণ মানুষ।
ব্যাঙ্ক থেকে পোস্ট অফিসে টাকা থাকা মানেই বছর-বছর KYC দেওয়ার ঝক্কি পোয়ানো। ফর্ম ফিলাপ করে পরিচয়পত্র, ঠিকানার প্রমাণপত্রের নথি জমা করতে হয়। অনেক ব্যাঙ্কে বছর-বছর KYC জমা না করলে মোবাইলে ব্যাঙ্কিং মেসেজ আসাও বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সাধারণ মানুষদের খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। বিশেষত, বয়স্ক, অসুস্থদের ক্ষেত্রে প্রতি বছর KYC জমা দেওয়া একটি মস্ত ঝামেলা। তবে এবার এই ঝক্কির দিন শেষ হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেটে KYC নিয়ে নতুন ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চলেছে সাধারণ মানুষ।
যদিও KYC প্রক্রিয়ার কী রকম সরলীকরণ করা হবে বা তার কী বিকল্প করা হবে, সে বিষয়ে এদিন স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে শীঘ্রই এই বিষয়ে ঘোষণা করা হবে এবং নতুন অর্থবর্ষ থেকেই KYC প্রক্রিয়ার সহজ প্রক্রিয়া চালু হবে বলে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, KYC প্রক্রিয়ার সরলীকরণের পাশাপাশি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে মহিলা ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবারের বাজেটে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষ্যে ‘মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট’ চালু হচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানান, দু বছরের জন্য আজাদি কা অমৃত মহোৎসব মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট দু বছরের জন্য চালু হচ্ছে। যেখানে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখা যাবে এবং ৭.৫ শতাংশ সুদ মিলবে।
অন্যদিকে, সিনিয়ার সিটিজেনদের সেভিংসে সর্বোচ্চ টাকার সীমা বেড়ে ৩০ লক্ষ করা হয়েছে। এছাড়া সিঙ্গেল অ্যকাউন্টে সেভিংসের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং যৌথ অ্যাকাউন্টে সেভিংসের সর্বোচ্চ সেভিংসের পরিমাণ ৯-১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।