নয়া দিল্লি: করোনাকালে চাকরির বাজারে এসেছিল আমূল পরিবর্তন। লক্ষাধিক মানুষ যেমন চাকরি হারিয়েছিলেন, তেমনই আবার বহু নতুন নতুন চাকরিও তৈরি হয়েছিল। অধিকাংশ অফিসই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ (Work From Home)-এ পরিবর্তিত হয়। আর বাড়ি থেকে কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দ্য় অনুভব করেন একটা বড় সংখ্যক কর্মী। এখন সংক্রমণের ঢেউ কেটে গেলেও বহু কর্মীই অফিসে ফিরতে নারাজ। গুরুত্ব পেয়েছে ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্সও। শারীরিক স্বাস্থ্য়ের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য়কে প্রাধান্য দিতে বাধ্য হয়েছে অফিসগুলি। আগে চাকরিতে যোগ বা চাকরি বদলের ক্ষেত্রে কর্মীরা সুযোগ-সুবিধার বদলে বেতনকেই গুরুত্ব দিত। কিন্তু সম্প্রতিই একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, এই ট্রেন্ড সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। বেতনের বদলে এখন কর্মীরা দেখছে কোন অফিস বেশি সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
চাকরি খোঁজার প্ল্যাটফর্ম ইনডিড(Indeed)-র তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়। “দ্য জব সার্চ প্রসেস: অ্য়া লুক ফ্রম দ্য় ইনসাইড আউট”- নামক ওই সমীক্ষায় চাকরি প্রার্থীদের পছন্দ-অপছন্দ, প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়, তা তুলে ধরা হয়েছে। চাকরি খোঁজার সময়ে তারা কী কী বিষয় খতিয়ে দেখেন, তাও তুলে ধরা হয়েছে।
কাজের স্বাচ্ছন্দ্য: দেখা গিয়েছে, বর্তমানে ৭১ শতাংশ চাকরি প্রার্থীই বেতনের থেকেও বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন কর্মক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য়কে। এরমধ্যে যেমন বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা থাকে, তেমনই কখন কাজ করবেন, কতক্ষণ কাজ করবেন, কতদিন ছুটি, কাজের মাঝে কতক্ষণ অবসর নিতে পারবেন, তা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কাজের ধরন- স্বাচ্ছন্দ্যের পরই চাকরিপ্রার্থীরা গুরুত্ব দিয়েছেন কাজের ধরনকে। ৭০ শতাংশ কর্মীই হাইব্রিড বা রিমোট ওয়ার্কের ব্যবস্থা পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন।
চাকরির স্থান- বাড়ি থেকে অফিসের দূরত্ব কতটা, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখেন ৬৯ শতাংশ চাকরিপ্রার্থীরাই।
সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষতিপূরণ- ৬৭ শতাংশ চাকরিপ্রাথীরা অফিসের সুযোগ-সুবিধাকে প্রাধান্য দেন। যেমন বেতন, সুবিধা, স্বাস্থ্য় বিমা, পরিবারের বিমা, ছুটি। এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে নতুন কী কী শেখা যাচ্ছে এবং উন্নতির সুযোগ মিলছে, সেটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।