কোহিমা: ২৭ ফেব্রুয়ারি নাগাল্যান্ডের ৬০ বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার রাজ্যে প্রচারে এসে বিতর্কিত ‘আফস্পা’ প্রত্যাহার নিয়ে বড় দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগাল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর তুয়েনসাং-এ এক নির্বাচনী সমাবেশে তিনি জানিয়েছেন, আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে সমগ্র নাগাল্যান্ড থেকে সশস্ত্র বাহিনী (বিশেষ ক্ষমতা) আইন বা আফস্পা (AFSPA) প্রত্যাহার করা হবে বলে আশাবাদী তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন পূর্ব নাগাল্যান্ডের উন্নয়ন এবং অধিকার সম্পর্কিত কিছু সমস্যা রয়েছে। নির্বাচনের পরই সেই সকল সমস্যার সমাধান করা হবে। তিনি আরও বলেন, নাগাল্যান্ডে শান্তি স্থাপনে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ‘নাগা শান্তি আলোচনা’ চালাচ্ছে কেন্দ্র। তবে শুধু নাগাল্যান্ডেই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যেগুলিতে স্থায়ী শান্তি আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে সকল উদ্যোগ নিয়েছেন, শিগগিরই তার ফল মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কেন্দ্রের মোদী সরকারের পাশাপাশি, গত কয়েক বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে হয় এককভাবে নাহলে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার পরিচালনা করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি এর ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে হিংসার ঘটনা অনেকটাই কমে গিয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির আমল উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে হিংসার ঘটনা ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু ৬০ শতাংশ কমেছে। আর অসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু ৮৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি দীর্ঘদিনের। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই বিতর্কিত আইন ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এর আগে ২০২২-এর এপ্রিলে, অসম, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন অমিত শাহ। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, মোদী সরকার বিদ্রোহের অবসান ঘটিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে স্থায়ী শান্তি আনার জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বেশ কয়েকটি চুক্তির ফলে নিরাপত্তা পরিস্থিতিরও ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। এর ফলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে নিরাপত্তা পরিস্থিতি যাচাই করে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য এলাকা থেকেও আফস্পা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।