বেঙ্গালুরু: শিকে ছিড়ল সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) কপালেই। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াই। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)। কিন্তু দু’দিন আগেই মুখ্য়মন্ত্রীর গদি নিয়ে যখন টানাপোড়েন চলছিল, সেই সময় তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, হয় মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হোক, নাহলে তিনি কেবল বিধায়ক হিসাবেই থাকবেন। অন্য কোনও পদ তিনি নেবেন না। তাহলে হঠাৎ মতবদলের কারণ কী? সূত্রের খবর, দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)-র মধ্য়স্থতাতেই উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ নিতে রাজি হয়েছেন ডিকে।
দলীয় সূত্রে খবর, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্দারামাইয়াকেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছেন। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে ভাবা হয়েছে ডিকে শিবকুমার। কিন্তু সিদ্দারামাইয়া এই পদ গ্রহণ করতে রাজি ছিলেন না। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিতেই অটল ছিলেন। শেষ অবধি শিবকুমারকে বোঝাতে ময়দানে নামেন সনিয়া গান্ধী। তিনি শিবকুমারকে বোঝানোর পর উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছেন তিনি। গতকাল বিকেলে বৈঠকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে এই জটের সমাধানসূত্র খুঁজে বের করা হয়।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেসের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। তখনই পাকাপাকিভাবে জানা যাবে ডিকে শিবকুমার উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কি না।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার, এই দুই নেতার নামই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে বারবার উঠে এসেছিল। দুই নেতাও আগ্রহ দেখিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার। আর তাতেই চাপ বাড়ে, তৈরি হয় অন্তর্দ্বন্দ্বের আশঙ্কা। শেষ অবধি সোমবার বেঙ্গালুরুর একটি পাঁচতারা হোটেলে সমস্ত জয়ী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কর্নাটক কংগ্রেসের পর্যবেক্ষকরা। সেখানেই কে মুখ্য়মন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে বিধায়কদের মধ্যে ভোটাভুটি হয়। মুখ বন্ধ সেই ব্যালট বক্স পাঠানো হয় দিল্লিতে, মল্লিকার্জুন খাড়্গের কাছে। এরপরও মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছিল না। গতকাল, বুধবার দিল্লিতে ১০ জনপথ রোডে রাহুল গান্ধী, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও দলের সাধারণ সচিব কগেসি বেণুগোপালের সঙ্গে দেখা করতে আসেন সিদ্দারামাইয়া। তিনি বেরিয়ে যেতেই রাহুলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন সিদ্দারামাইয়া।
সূত্রের খবর, রাহুলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের সঙ্গে কথা বলেন দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীও। তিনিই শিবকুমারকে বোঝান উপমুখ্যমন্ত্রী পদ গ্রহণের জন্য।