হায়দরাবাদ: যত বিধানসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে, ততই তেলঙ্গানার রাজ্য রাজনীতিতে বাড়ছে উত্তেজনা। নির্বাচনের মুখে, চর্চা শুরু হয়েছে কারা টিকিট পাবেন, তাই নিয়ে। একেকটি কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চান একাধিক ব্যক্তি। মাঝে মধ্যে টিকিটের দাবিতে, ঝামেলা লগে যাচ্ছে একই দলের দুই নেতার মধ্য়েও। এরকমই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস কেন্দ্রে। এখান থেকে প্রার্থী হতে চান কংগ্রেস নেতা তথা ভারতীয় ক্রিতকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। অন্যদিকে, এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে ছড়ি ঘোরায় বিষ্ণুবর্ধন রেড্ডির পরিবার। গত নির্বাচনে হেরে গেলেও, তার আগে এই কেন্দ্র থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন বিষ্ণুবর্ধন রেড্ডি। তার আগে পাঁচবার এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁর বাবা জনার্দন রেড্ডি। সম্প্রতি, জুবিলি হিলস নির্বাচনী এলাকা সফরে গিয়েছিলেন আজহারউদ্দিন। বিষ্ণুবর্ধন রেড্ডির অনুগামীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
বুধবার (৯ অগস্ট), জুবিলি হিলস এলাকার রেহমত নগর এলাকায় অনুগামীদের নিয়ে মিছিল করতে গিয়েছিলেন আজহারউদ্দিন। কিন্তু, বিষ্ণুবর্ধন রেড্ডির অনুগামীরা এর প্রতিবাদ জানায়। পথ অবরোধ করে। তাদের দাবি, জুবিলি হিলসের সঙ্গে বিষ্ণুবর্ধন রেড্ডির ১৬ বছরের পুরোনো সম্পর্ক। কাজেই তাঁকেই টিকিট দিতে হবে। ‘বিষ্ণুবর্ধন রেড্ডির নির্বাচনী এলাকায়’ হঠাৎ করে আজহার কেন প্রচার করছেন, প্রশ্ন তোলে তারা। আগে থেকে কোনও তথ্য না দিয়ে, তারা কীভাবে বিষ্ষুবর্ধনের নির্বাচনী এলাকায় সফর করতে পারেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। আজহারউদ্দিনের অনুসারীদের নির্বাচনী এলাকায় মিছিল করতে বাধা দেয় বিষ্ণুবর্ধন গোষ্ঠী। এই নিয়ে দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সূত্রের খবর, বিভিন্ন কারণে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বর সঙ্গে বিষ্ণুবর্ধনের বনিবনা নেই। শীর্ষ নেতৃত্বের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে তিনি অসন্তুষ্ট। জুবিলি হিলস এলাকায় আজহারউদ্দিনের সাম্প্রতিক নির্বাচনী কর্মসূচি সফর সেই অসন্তোষের আগুনে ঘি দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই, সোমাজিগুড়া, এররাগাড্ডা এবং বোরাবান্দা এলাকায় মিছিল করেছেন আজহারউদ্দিন। এলারেড্ডিগুড়ায় চায় পে চর্চা অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন তিনি। দুবিলি হিলস থেকে ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়ে আজহার বলেছেন, “এই এলাকার মানুষ কংগ্রেসের কাছে নতুন মুখ চাইছেন। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন নের্তৃত্বের নজরে আনতে চাই। তারই অংশ হিসেবে এখানে এসেছি।” শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব জুবিলি হিলস থেকে কাকে টিকিট দেয়, সেটাই দেখার।