আগরতলা: ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৩-এর সম্পূর্ণ ফলাফল প্রকাশিত। স্পষ্টতই ‘কিংমেকার’ হওয়া হয়নি প্রদ্যোত দেববর্মার তিপ্রা মোথার। বিজেপি-আইপিএফটি জোট ৩৩ আসন জিতে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে। তবে, প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৩টি আসনে জিতে তারা রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তর দলে পরিণত হয়েছে তিপ্রা মোথা। এতদিন যে আদিবাসী ভোটের মালিকানা ছিল বিজেপির শরিক ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা বা আইপিএফটি-র, সেই আদিবাসি ভোট ব্যাঙ্কের দখল নিয়েছে প্রদ্যোত দেববর্মার দল।
ফল প্রকাশের পর ত্রিপুরার রাজ পরিবারের এই সদস্য জানিয়েছেন, তাদের পক্ষে জনগণের আশীর্বাদ আছে। নির্বাচনে এই সাফল্যের পর, পৃথক রাজ্য ‘গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডে’র জন্য চাপ আরও বাড়াবে তারা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে প্রদ্যোত দেববর্মা বলেছেন, “১৩টি আসন পাওয়া আমাদের জন্য বড় বিষয়। আমাদের দল মাত্র দুই বছরের পুরোনো। আজ রাজ্যের কনিষ্ঠতম দলই রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়ে উঠেছে। জনগণের আশীর্বাদ ছাড়া এটা হত না।”
.
আর এই বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখেই আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক প্রায় পুরোটাই নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছে তিপ্রা মোথা। ২০১৮ সালে, ত্রিপুরার আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত ২০টি আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থী দিয়ে ৮টিতে জয়ী হয়েছিল আইপিএফটি। এবার বিধানসভা থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ত্রিপুরার আদিবাসীদের এই ফ্রন্ট। মাত্র একটি আসন ধরে রাখতে পেরেছে। বিজেপি একাই ৩২টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত না করলে, এই জোটের সরকার গঠন করা প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ত।
অবশ্য এমনটা যে হতে পারে, তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল দুই বছর আগেই। ২০২১ সালে সদ্যজাত তিপ্রা মোথা ত্রিপুরা আদিবাসী অঞ্চল স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদ বা টিটিএএডিসি নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়েছিল। এবারের নির্বাচনে এমনকি সিপিআইএম-এর মতো দীর্ঘদিন ত্রিপুরা শাসন করা দলকেও পিছনে ফেলেছে তিপ্রা মোথা। সিপিএমের ঝুলিতে গিয়েছে ১১টি আসন। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৩টি।