কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব প্রায় শেষ। মঙ্গলবার (১১ জুলাই), সকাল আটটা থেকে চলছে ভোট গণনা। বিকেলে মধ্যে মোটামুটি ফলাফলটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। জেলায় জেলায় জয়-জয়কার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। অনেক পিছনে রয়েছে বিজেপি, বাম, কংগ্রেস, আইএসএফ। তবে, নির্বাচনের ফলাফলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটে চলা লাগাতার হিংসা। ভোট ঘোষণার দিন থেকে, পুনর্নির্বাচনের দিন পর্যন্ত প্রায় জনা চল্লিশেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এই রাজনৈতিক হিংসার শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষও। ভোট পর্ব মিটলেও, হিংসা পর্ব থেকে বাংলা এখনই মুক্তি পাবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে বিশেষ পদক্ষেপ করল রাজ্য বিজেপির লিগ্যাল সেল।
এদিন বঙ্গ বিজেপির লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, নির্বাচনোত্তর হিংসায় আক্রান্তরা প্রশাসনিক আধিকারিক ও কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি, ভারতীয় জনতা পার্টির কাছেও ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানাতে পারবেন। সাধারণ মানুষের থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির লিগ্যাল সেল তাঁদের হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগ জানানোর জন্য দুটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে – ৮১০০৯৯৫৮৬৮ এবং ৮১০০৯৯৫৮৬২, এই দুই নম্বরে ফোন করে সাধারণ মানুষ তাঁদের সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের বিবরণ দিতে পারবেন। এছাড়া, ঘটনার ছবি, ভিডিয়ো ইত্যাদি পাঠানোর জন্য দেওয়া হয়েছে একটি ইমেইল আইডিও – panchayatviolence2023@gmail.com
এদিন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রধান রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে রাজ্যে আরও ১০দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এমনটাই জানানো হয়েছে। ভোটের দিনই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গেলেও, তাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বিএসএফ-এর অভিযোগ, স্পর্শকাতর বুথগুলির তালিকাই দেওয়া হয়নি তাদের। তবে, এই অভিযোগ মানতে চাননি রাজীব সিনহা। তবে, ১০,০০০-এর বেশি বুথে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায়নি, তাও মেনে নিয়েছেন তিনি।