সুশান্ত সিং রাজপুত, মাত্র ৩৩ বছর বয়সে জীবনের সকল যুদ্ধ থামিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জানিয়ে দেয় আত্মহত্যাই করেছিলেন তিনি। এরপর কেউ জানিয়েছেন মানসিক অবসাদের ভুগছিলেন অভিনেতা, কারও কথায় বলিউডের অন্দরমহলের চাপ সহ্য করতে না পেরেই নিজেকে শেষ করে দেন সুশান্ত সিং রাজপুত। কিন্তু আবার এরই মধ্যে প্রেম-সম্পর্ক, রিয়া চক্রবর্তী, মাদক চক্র, সমস্ত কিছুকেই তুলে ধরেছেন। তবে এইসব এখন অতীত, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবার। ধীরে ধীরে ভক্তরাও মেনে নিয়েছে সুপারস্টার আর নেই। এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে তাঁর মৃত্যুর বিচারের লড়াই।
এরই মাঝে ছেলে মৃত্যুকে নিয়ে ব্যবসা মেনে নিতে পারছে না সুশান্ত সিং রাজপুত এর বাবা কৃষ্ণ কিশোর সিং। ইতিমধ্যেই সুশান্ত সিং রাজপুত এর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে এক ছবি, যা ওটিটি প্লাটফর্মে স্ট্রিম করছে বর্তমানে। ছবির নাম দ্য জাস্টিস। এই ছবি নিয়ে বরাবরই আপত্তি ছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের। তাঁরা বারবার আবেদন করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে যেন কোনও রকম ছবি তৈরি করা না হয়। সে অনুরোধ তো রাখা হয়নি বরং ছবি চিত্রনাট্যে এমন কিছু প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে যা সুশান্ত সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছে দর্শকদের, পাশাপাশি তাঁদের পারিবারিক বিষয়কে কলুসিত করছে বলেই ১৭ অগাস্ট আদালতে জানান প্রয়াত অভিনেতার বাবা।
এটি অনধিকার চর্চা বলেই এদিন দাবি করেন সুশান্ত সিং রাজপুত এর পরিবারের। এতে পরিবারের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন হচ্ছে, সুশান্ত সম্মানও হানি হচ্ছে বলে এবার এই ছবি স্ট্রিমিং বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে আদালতে দ্বারস্থ হলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা। তাঁদের হয়ে এই কেস লড়ছেন বরুণ সিং। যশবন্ত ভার্মা এবং ধর্মেশ শর্মার বেঞ্চ এদিন সুশান্অতের বাবার আবেদন অনুযায়ী শোকজ জারি করেন। নোটিস পাঠানো হয় একাধিক ব্যক্তির উদ্দেশে। অন্যদিকে ছবির প্রযোজনা সংস্থা থেকে বারবার জানানো হচ্ছে কোনও সেলিব্রিটি বা পাবলিক ফিগারের যদি মৃত্যু ঘটে তবে তাঁর ওপর আর কোনও ব্যক্তিগত অধিকার বর্তায় না পরিবারের। তাঁকে নিয়ে জানার বা তাঁকে নিয়ে রিপোর্ট করা সিনেমা করার অধিকার সকলেরই থাকে। যদিও সুশান্তের বাবার বক্তব্য স্পর্শকাতর এ বিষয়কে নিয়ে ব্যবসা করছে এই সংস্থা। এটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না।