তিনি ‘আগুনপাখি’— ৩০ বছর ধরে আগুন-গানে মাতিয়ে রেখেছেন দর্শকদের। তাঁর গান শুনে লাল ফিতে সাদা মোজার নীলাঞ্জনারা অনুভব করেছে প্রথম ভাললাগার অনুভূতি। অন্যদিকে তাঁর ‘বৃদ্ধাশ্রম’ শুনে চোখ ভিজেছে বৃদ্ধের। তাঁকে নিয়ে রটনাও কম হয়নি। কিন্তু তিনি অপ্রতিরোধ্য। গত শনিবার আয়োজিত হয়েছিল তাঁর একক অনুষ্ঠান। নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘তিন দশকে নচিকেতা’। হল ভর্তি দর্শক, আগুন ঝরালেন তিনি। অথচ তাঁকে নিয়েই বেশ কিছু বছর ধরেই রটনা তাঁর নাকি ক্যানসার হয়েছে। কন্ঠে প্রভাব পড়েছে ক্যানসারের। সত্যি কি তাই?
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নচিকেতা বলেন, “দাপিয়ে শো করছি। তার মধ্যে কারা রটিয়ে বেড়িয়েছে আমার নাকি ক্যান্সার হয়েছে। কোন কিছু হয়নি আমার। বলে বলে অসুস্থ করে দেবেন না”। ক্যান্সার তত্ত্ব খারিজ করেছেন গায়ক। তাঁর পরিকল্পনা সুদূরপ্রসারী। মেয়ে ধানসিঁড়িও অনুসরণ করেছেন বাবার পথ। মঞ্চে গান গাইছেন তিনিও। শুধু বাংলা নয়, ইংরেজি গানের প্রতিও ঝোঁক রয়েছে তাঁর।
একসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল তাঁর গান। জোর গলায় তিনি গেয়ে উঠেছিলেন, ‘মন্ত্রীরা সব … আস্ত বদের ধারি’। তবে আজ তিনিও রাজনীতির অংশ। শাসক দলের সঙ্গে তাঁর সখ্য সকলেরই জানা। আজও কি অন্যায় দেখলে সেই গান তিনি গেয়ে উঠবেন? কিছু দিন আগেই তাঁকে এই প্রশ্ন করেছিল টিভিনাইন বাংলা। তিনি বলেছিলেন, “আমি তো গাইছি। আমি আজও বলতে পারি, ‘মন্ত্রীরা সব হারামজাদা… আস্ত বদের ধাড়ি, তুড়ুক নাচে, মন্ত্রিসভা এখন বাইজি বাড়ি’। এরপরেই সরাসরি আইটিসেলকে নিশানা করে তিনি যোগ করেছিলেন, “যারা বলছে নচিকেতা এই সব গান এখন গাইছে না স্রেফ বাজে কথা। আমাকে ডি-গ্ল্যামারাইজ কতগুলো পাঁঠা করতে পারবে না। আমি বাংলা ভাষার উপর যে দাগটা রেখে গিয়েছি কতগুলো ফোড়ে আমার সম্পর্কে দু-পাঁচটা বাজে কথা বলে কিছুতেই আমাকে ম্লান করতে পারবে না।”