এলভিশ যাদব– বিগত কিছু দিন ধরেই এই একটাই নাম ট্রেন্ড করছে সামাজিক মাধ্যমে। ‘রাওসাব’ হিসেবে হরিয়ানার মন আগেই জয় করেছিলেন, এবার তাঁর লক্ষ্য গোটা ভারত। এলভিশের অনুরাগী আকাশছোঁয়া। শুধু সংখ্যাতেই বেশি নয় ভক্তমহলে তাঁর জনপ্রিয়তার জবাব নেই। এ হেন জনপ্রিয়তাকেই কি এবার তুরুপের তাস করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি? রিয়ালিটি শো-য়ে প্রথম হওয়ার পরেই কি রাজনীতির মঞ্চে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি? যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে? বিগবসে জয়ের পরে ফ্যানেদের জন্য একটি ‘মিটআপ’-এর ব্যবস্থা করেছিলেন এই ইউটিউবার। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন হরিয়ানার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর।
মনোহর লাল ২০১৪ সাল থেকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসিন। এলভিশ আয়োজিত ওই সভায় এসেই তিনি বলেন, “যুবসমাজের যে শক্তি, যে উদ্দীপনা প্রদর্শিত হয়েছে তা ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আর এই সমাজকে নেশামুক্ত গড়তেও সহায়তা করবে। গুরগাঁওয়ে হরিয়ানার যুব সমাজের শক্তির সাক্ষী রইলাম।” এখানেই শেষ নয়, এলভিশ জয়লাভ করে আসার পরে নিজের নিবাস (শান্ত কবীর কুটির)-এও ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “হরিয়ানার জয়জয়কার সর্বত্র। শো’টি জেতার জন্য এলভিসকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। ওর এক সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি।” এ তো গেল মনোহার লালের কথা।
কিন্তু এলভিশ নিজে কী ভাবছেন? তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা আমার জন্য এক আলাদা অনুভূতি। আমার কাজের উনি প্রশংসা করেছেন। রাজনীততে যোগদানের ব্যাপারে এখনও কিছু ভাবিনি। উনি আমায় আশীর্বাদ দিতেই যোগ দিয়েছেন।” এর আগেও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সঙ্গে ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে, যা বারেবারেই সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর যোগদানের জল্পনাকে এগিয়ে রেখেছে।