তিনি ব্যস্ত মানুষ, রাজ্যের দায়িত্ব তাঁর উপরে। অথচ প্রতিটি ধারাবাহিকের নাম মুখস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ থেকে শুরু করে ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ ধারাবাহিকের প্লট সবটাই জানেন তিনি। শুধু কি তাই? হালফিলে ধারাবাহিকে তিন-চারটে বিয়ে, বিচ্ছেদ। অনুরাগ সব কিছুই ঠোঁটস্থ তাঁর। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে টেলি অ্যাকাদেমি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩-এর আয়োজন করা হয়। বাংলা ধারাবাহিকে ভাল কাজ করছেন যারা তাঁদেরকেই এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। ওই অনুষ্ঠানেই হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু হাজির যে ছিলেন তা নয়, ধারাবাহিকের নাম ধরে ধরে তা নিয়ে মন্তব্য রাখলেন মমতা।
এ দিন তিনি বলেন, “একদিন আমি সিরিয়াল না দেখতে পারলে নিজে নিজে ভাবি পরের দিন কী দেখাবেন। কারণ আমি জানি আপনারা কী দেখাবেন। ” এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যোগ করেন, “একটা জিনিস তো আপনাদের থাকেই, একজনের তিন বার বিয়ে হচ্ছে, একটা কূটকচালি থাকবেই। আর যদি কেউ ধারাবাহিক ছেড়ে দেন, তাঁকে আপনারা তাঁকে মেরে দেন, এ সব আমি বুঝতে পারি। আমি সবই বুঝতে পারি।”
এখানেই শেষ নয়, নির্মাতাদের কাছে এক প্রস্তাবও রাখেন তিনি। খারাপ জিনিস লোকে তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে, তাই অপরাধমূলক দৃশ্যের পর যদি শাস্তির ব্যাপারটাও দেখানো হয় ধারাবাহিকে তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ে বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই প্রতিটি ধারাবাহিকেই যেন সেটির উল্লেখ থাকে, আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বেশ কিছু ধারাবাহিকে নাম উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘নিম ফুলের মধু’ ইত্যাদি। একই সঙ্গে তিনি প্রশংসা করেন সব্যসাচী চৌধুরীরও। ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকের প্লট তাঁর পছন্দের, জানিয়েছেন তিনি। এ দিন ওই অনুষ্ঠানে বসেছিল চাঁদের হাট। সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেন দিব্যজ্যোতি দত্ত। অন্যদিকে সেরা অভিনেত্রী নন অঙ্কিতা মল্লিক।