ফের একবার সামাজিক মাধ্যমে বোমা ফাটালেন অঙ্কুশ হাজরা। নাম না করেই তাঁর সহ-প্রযোজকের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন। একই সঙ্গে চাইলেন ক্ষমাও। অঙ্কুশের সাফ বক্তব্য, “কারও স্বপ্ন নিয়ে সে যদি ছেলেখেলা করে আমি কড়া পদক্ষেপ করব”। কেন হঠাৎ করে রেগে গেলেন তিনি?
গত বছর নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছিলেন অঙ্কুশ। নাম দিয়েছিলেন অঙ্কুশ হাজরা মোশন পিকচার। ধুমধাম করে ঘোষণা করেছিলেন তাঁর প্রথম ছবি ‘মির্জা’র। ওই প্রজেক্টে তাঁর সহ প্রযোজক ছিল রক্তিম চট্টোপাধ্যায়। ‘মির্জা’ ছিল অঙ্কুশের ড্রিম প্রজেক্ট। কিন্তু কিছু মাস যেতে না যেতেই রক্তিমের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছিলেন অঙ্কুশ। আনা হয়েছিল জালিয়াতির অভিযোগ। ইন্ডাস্ট্রি মারফৎ এও জানা যায়, অঙ্কুশের অগোচরে নাকি মির্জাকে আলাদা ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন রক্তিম। এর পরেই রক্তিমের সংস্থা নেক্সজেন ভেঞ্চার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। ‘মির্জা’র নিয়ে একাই এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। ‘মির্জা’ কবে আসবে, আদপে আসবে কিনা, যখন এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে চলছিল জল্পনা। তখন ফের একবার এ দিন অঙ্কুশের বোমা।
তাঁর কথায়, “আমি কিছু কিছু মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কারণ আমি মনে করি তাদের চোখের জল পড়ার কারণ কিছুটা আমিও। আমি এবং আমার প্রযোজনা সংস্থা যে মানুষটির সাথে যুক্ত হয়েছিল সহ প্রযোজক হিসেবে তার ব্যাকগ্রাউন্ড, তার মানসিকতা, তার উদ্দেশ্য সঠিক ভাবে না জেনেই তাকে সেই জায়গা দিয়ে ফেলেছিলাম যার সে বিন্দু মাত্র যোগ্যতা রাখেনা। আজ সেই কারণে অনেক নতুন ছেলে মেয়েরা তাকে বিশ্বাস করে নিজের চোখের জল ফেলছে।” এখানেই থামেননি অঙ্কুশ।
তাঁর আরও বক্তব্য, “আমি নিজে ছোট্ট একটি জায়গা থেকে বড় স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম নায়ক হব বলে।পরিবারের যেখানে কেউই এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত না। সফর বেশ কঠিন ছিল। তাই এই স্বপ্নের দাম আমি বুঝি। আর সেই স্বপ্ন নিয়ে খেলা করার অধিকার কারও নেই। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এরপর আর কারও স্বপ্ন নিয়ে যদি সে ছেলেখেলা করে আমি কড়া পদক্ষেপ নেবো তার বিরুদ্ধে।”
না, গোটা পোস্টে রক্তিমের নাম তিনি নেননি। তবে ইন্ডাস্ট্রি সূত্র বলছে, রক্তিমের বিরুদ্ধে শুধু অঙ্কুশ নন, অনেকেই বিরক্ত। কথার খেলাপ ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে রক্তিমের তরফের মতামত জানবার জন্য যোগাযোগ করেছিল টিভিনাইন বাংলা। যদিও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে নিজের সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন অঙ্কুশ। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, “আসুক না আসুক আমি আসছি ঠিক সময় ঠিক জায়গায়।
আমার চুপ থাকাটা দুর্বলতা নয়। প্রমাণ আসবে একদিন সবার সামনে। খুব শীঘ্রই আসবে।” যদিও তা এখনও পর্যন্ত আসেনি। তবে কি অঙ্কুশের আনা অভিযোগই সত্যি? প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়।