কোভিড ১৯ (Covid 19)-এর ভয়াবহতার সাক্ষী গোটা বিশ্ব। করোনা ভাইরাসের দাপট কতটা চরমে পৌঁছতে পারে তা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহল। লকডাউনের বন্দি দশা কাটিয়ে মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেও কমেনি নোভেল করোনা ভাইরাসের চোখরাঙানি। হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই এক হাড় হিম করা তথ্য সামনে এনেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council of Medical Research)। তাদের দাবি যেসব কোভিড আক্রান্তরা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, গত এক বছরের মধ্যে তাঁদের ৬.৫ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে।
আইসিএমআরের (ICMR) ছত্রছায়ায় থাকা ৩১টি হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট সংগ্রহের মাধ্যমে তারা এই গবেষণা পত্রটি প্রকাশ করেছে। মোট ১৪ হাজার ৪১৯ জন রোগীর মধ্যে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে তাঁদের মধ্যে ৬.৫ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, ২০২০ সাল থেকে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁদের মধ্যে ১৭.১ শতাংশর মধ্যে করোনা পরবর্তী নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কী এই সমস্যা? করোনা পরবর্তী শারীরিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, অকারণে ক্লান্তি, আচমকা বিস্মৃত হয়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক আচরণ ইত্যাদি।
আর যাঁরা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে রক্তনালির কার্যকারিতা হ্রাস, ফুসফুসের সমস্যা, দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত সমস্যাকেই দায়ী করছে আইসিএমআর। শুধু তাই-ই নয়, এই গবেষণায় উঠে এসেছে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগই পুরুষ। এবং তাঁদের বয়স ৬০-এর উর্ধ্বে। যাঁরা করোনার একটি টিকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর হার এক লাফে কমেছে ৪০ শতাংশ। তবে গবেষকরা পরিষ্কার জানিয়েছেন, করোনায় যাঁদের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক ছিল তাঁদেরই এই গবেষণার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যাঁদের অবস্থা খুব একটা গুরুতর ছিল না তাঁরা কোনওভাবেই এই গবেষণার অংশ নন। গবেষকরা এও জানিয়েছেন, যেসব কোভিড আক্রান্তদের লিভার ও কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের এবিষয়ে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।