বর্ষা পড়তেই জেলায় জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। প্রতি জেলা থেকেই আসছে আক্রান্তের খবর। আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা। ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহন করে এডিশ ইজিপ্টাই মশা। পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এই মশা। মশার শরীরে এই ডেঙ্গির জীবাণু পুরো মশার জীবনচক্র জুড়ে থাকে। ফলে স্ত্রী মশা ডিম পাড়লে তার মাধ্যমে ডেঙ্গির জীবাণু সংক্রমিত হয় এবং অন্য মানুষের শরীরে তা ছড়িয়ে যায়। মরশুম বদলে এখন ঘরে ঘরেই জ্বরের প্রকোপ। সাধারণ জ্বর এবং ভাইরাল জ্বরের কিছু লক্ষণ একই। বর্তমানে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপেও অনেকে পড়ছেন। জ্বর হওয়ার পর তিনদিনের পরও যদি না কাটে তাহলে কিন্তু রক্ত পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না।
সাধারণত জ্বর, মাথাব্যথা, হাতে-পায়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, চোখের পিছনের দিকে ব্যথা, বমি বমি ভাব, খিদে না পাওয়া, চুলকানি, পেটের সমস্যা, মাড়ি বা নাক থেকে রত্তপাত, গলাব্যথা এসব লেগেই থাকে। এসব ডেঙ্গির প্রাথমিক লক্ষণ। এর মধ্যে কোনও একটা লক্ষণ দেখলে একমুহূর্তও দেরি করবেন না। মল বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলে তখন প্লেটলেট কমতে থাকে। প্লেটলেট কমে যাওয়া ডেঙ্গির অন্যতম কারণ। আর তাই ডেঙ্গি হলে যা কিছু মেনে চলতেই হবে-
ডেঙ্গি হলে প্লেটলেট কমে যায়। এবার এই প্লেটলেট কমতে থাকলে তখন জীবন নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়।
ডেঙ্গির ক্ষেত্রে খুব ভাল হল অ্যাসপারগাস। দুর্বলতা কাটাতে তা খুব ভাল কাজ করে। এছাড়াও রোজ নিয়ম করে গোলমরিচ খান। এর মধ্যে ভিটামিন সি অনেকটা বেশি পরিমাণে থাকে। যে কারণে তা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। আর গোলমরিচ মুখের স্বাদ ফেরাতেও সাহায্য করে।
জ্বরের মুখে বলে নয় আদা শরীরের জন্য খুব ভাল। আদার মধ্যে অনেক গুণ থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। জ্বর, সর্দি হলে রোজ নিয়ম করে আদা দিয়ে চা খেতে হবে। রোজ একটা করে বাদানা খান। বেদানার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর ভিটামিন সি। যা শরীর ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এ সময় শরীরে প্রচুর জলের প্রয়োজন পড়ে। আর তাই রোজ একটা করে ডাব খেতে ভুলবেন না। মুসুর ডালের মধ্যে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়, স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সাহায্য করে। এছাড়াও হলুদ, পেঁপে, টকদই খেতে ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।