হঠাৎ করেই শরীরে অস্বস্তি শুরু হল। হাঁচি-কাশিতে জেরবার হয়ে গেলেন। কখনও মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে অনবরত জল পড়া, গা চুলকোনো, গলায় ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেট ফেঁপে যাওয়া- এসব অ্যালার্জির খুবই সাধারণ একটি উপসর্গ। ঘর পরিষ্কার করছেন। হঠাত্ করেই শুরু হয়ে গেল হাঁচি, পরে শ্বাসকষ্ট। অথবা প্রাণভরে ফুলের গন্ধ নিলেন, শরীরে জেগে উঠল লাল চাকা চাকা দাগ। চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন, গরুর দুধ, বা ডিম খেলেই চুলকোচ্ছে গা। এসবই অ্যালার্জির অতি পরিচিত চেনা লক্ষ্মণ।
কেন হয় অ্যালার্জির সমস্যা?
আমাদের শরীর সবসময়ই ক্ষতিকর বস্তুকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। অনেক সময় ক্ষতিকর নয় এমন ধরণের বস্তুকেও ক্ষতিকর ভেবে শরীর প্রতিরোধের চেষ্টা করে। শরীরের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়াকে অ্যালার্জি বলা হয়। অ্যালার্জির নানা লক্ষ্মণ, যেমন অ্যালার্জিজনিত সর্দি- এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, অনেকের চোখ দিয়েও জল পড়তে থাকে। অ্যালার্জি- শব্দটি শুনতে ছোট হলেও এই অ্যালার্জি থেকে একাধিক সমস্যা হতে পারে। এমনকী প্রাণহানির মত ঘটনাও হয়েছে অনেক সময়ে। অ্যাজমা বা হাঁপানি, একজিমা এসবই কিন্তু এক রকমের অ্যালার্জি। তাই কোনও খাবারে হঠাৎ সমস্যা হলে, অ্যালার্জি হলে বা গ্যাস অম্বল হলে একবার অ্যালার্জির পরীক্ষা করিয়ে নিতে কিন্তু ভুলবেন না।
আমবাত বা ফুড অ্যালার্জি হল এর মধ্যে সবচাইতে খারাপ। এতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। খুব সামান্য খাবার থেকে হতে পারে এই অ্যালার্জির সমস্যা। আমেরিকান কলেজ অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা এবং ইমিউনোলজি অনুসারে,এই অ্যালার্জির প্রকোপে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। শরীর যদি কোনও নির্দিষ্ট পদার্থের উপর অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে তাহলে সেখান থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
ডিম, দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, গম, সয়াবিন, তিল এসব খাবার খেলে অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন। খাবারে অ্যালার্জি হলে সেখান থেকে বমি, পেটেব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্রমাগত কাশি, গিলতে সমস্যা হওয়া, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা এসব একাধিক সমস্যা হতে পারে।
খাবারের অ্যালার্জি অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে পারে। যেখান থেকে শকে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে সঙ্গে সব সময় ওষুধ রাখতে হবে। এছাড়াও অ্যান্টি-জইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এরকম খাবার বেশি করে খেতে হবে। আদার রসে একটু মধু মিশিয়ে খেলে আমবাতের সমস্যার সমাধান হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।