শ্রীনগর: স্বাধীনতা দিবসের দিনই নজর কেড়েছিল বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি। এবার পরিসংখ্যানও জানাল, গত তিন দশকের মধ্যে, এইবারই জম্মু ও কাশ্মীরে সবথেকে বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন জানিয়েছে, সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৩৬,৮৫,১০৬! কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এই বছর স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে মোট ৪২,৮৭৯টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এর মধ্যে জম্মুতে ২৩,১৬৩টি এবং কাশ্মীরে ১৯,৭১৬টি অনুষ্ঠান হয়। অংশ নিয়েছিলেন যথাক্রমে ১৯,৭৬,২৫৫ এবং ১৭,০৮,৮৫১ মানুষ।
জম্মু ও শ্রীনগরের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা সদরেও ধুমধাম করে পালিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। সরকারি কর্তা ও সরকারি কর্মীদের হাজির থাকাটা ছিল বাধ্যতামূলক। কিন্তু, এর বাইরে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ এবং ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়েছেন স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে। প্রতিটি সরকারি দফতর এবং বিভাগের পাশাপাশি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
কাশ্মীর উপত্য়কায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সবথেকে বেশি অনুষ্ঠান হয়েছে কুপওয়ারায়, ৪,৯৯৩টি। অন্যদিকে, সবথেকে বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন বারামুলায়। ৩,৩৫৩টি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। জম্মুত সবথেকে বেশি মানুষের অংশগ্রহণ ছিল রাজৌরিতে, ৩,৯৫,৯১৬ জন।
জম্মু-কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবসের সবথেকে বড় অনুষ্ঠানটি হয়েছে শ্রীনগরের বকশি স্টেডিয়ামে। এখানেই পতাকা উত্তোলন করেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির উপরাজ্যপল, মনোজ সিনহা। অংশ নেন প্রায় ১০,০০০ মানুষ। জম্মুতে প্রধান অনুষ্ঠানটি হয় এমএ স্টেডিয়ামে। প্রায় ১১,০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। প্রায় সবকটি অনুষ্ঠানেই সাধারণ মানুষের প্রবেশ অবাধ ছিল। এর পাশাপাশি, ‘মেরি মাটি মেরা দেশ’ নামে এক প্রচারাভিযানের আয়োজনও করা হয়েছিল। পঞ্চায়েত, সরকারি কর্মী, শিক্ষার্থী, সুশীল সমাজর মানুষ জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল করেন। সব মিলিয়ে চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। গত কয়েক দশকে, জম্মু-কাশ্মীরে স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে এই উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়নি।