হরিদ্বার: আবারও বৃষ্টির দাপট দেবভূমিতে। ভারী বৃষ্টিতে ভেসে গেল জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ। শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় গইরসাইন-কর্ণপ্রয়াগ ১০৯ জাতীয় সড়কের একটি অংশ ভেসে গেল। এরফলে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়েছে। দুই দিকের রাস্তাতেই যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
পুলিশ-প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দিনভর ভারী বৃষ্টির জেরে চামোলি জেলার কালিমতির কাছে ১০৯ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রায় ১৫ মিটার ভেঙে গিয়েছে। এরফলে কর্ণপ্রয়াগ ও নৈনিতালের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জাতীয় সড়কের দুই দিকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে রাস্তাটি ভেঙে সম্পূর্ণ ধুয়ে মুছে গিয়েছে। নীচ থেকে খরস্রোতা নদী বয়ে যাচ্ছে। সামনে বেশ কিছু পর্যটকদের গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে।
#WATCH | Uttarakhand | As per the Chamoli Police, due to heavy rains late last night, a part of Gairsain-Karnprayag NH 109 has been washed away. People going from Gairsain to Karnprayag and Nainital are stranded on both sides of the road. pic.twitter.com/g2791vtaX8
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) July 21, 2023
অন্য়দিকে, চামোলি জেলাতেই বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভারী বৃষ্টির জেরে নন্দপ্রয়াগ থেকে বদ্রীনাথের মধ্যে জাতীয় সড়কের পাঁচ জায়গায় ধস নেমেছে। উত্তরকাশীতে ধারাসু বাঁধের কাছেও ভূমিধস নামায় ঋষিকেশ-যমুনেত্রী জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। একাধিক অঞ্চলে জমে গিয়েছে জল।
শুক্রবারই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী হরিদ্বারে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ খতিয়ে দেখেন এবং জলমগ্ন এলাকাগুলিকে বিপর্যয়-প্রবণ বলে ঘোষণা করা হয়। আগামী তিন মাসের জন্য বিদ্যুতের বিল, জলের বিল সহ অন্যান্য সরকারি পরিষেবার জন্য বকেয়া বিল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এই তিন মাস রাজ্যবাসীকে বিল দিতে হবে না। পরে তারা এই বিল দিতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে বন্যা রুখতে নদীগুলির গতিপথ পরিষ্কার ও অন্য়দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করা হবে। স্থায়ী ত্রাণ শিবিরও তৈরি করা হবে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভারী বৃষ্টির জেপে হরিদ্বার, রুরকি ও লস্কর ও ভগবানপুরের মোট ৭১টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।