নয়া দিল্লি: অপেক্ষার আর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। তারপরই চাঁদে পা দেবে ইসরোর স্বপ্নের যান। তার আগেই চাঁদের নতুন ছবি পাঠাল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। চাঁদের এই রূপ কখনও দেখা যায়নি কখনও। কারণ, চাঁদের এই পৃষ্ঠ সবসময় পৃথিবীর দিকে পিঠ করে থাকে। চাঁদের বুকের সেই গর্তেরই (Moon Crater) ছবি তুলে পাঠাল চন্দ্রযান-৩।
চন্দ্রাভিযানের শেষ ধাপে পৌঁছে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। আগামী বুধবার, ২৩ অগস্ট সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে চন্দ্রযান। ইতিমধ্যেই ডি-বুস্টিং (De-Boosting) প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার শুধু অবতরণটুকুই বাকি। এরই আগে চাঁদের নতুন কিছু ছবি তুলে পাঠাল চন্দ্রযান-৩।
Chandrayaan-3 Mission:
Here are the images of
Lunar far side area
captured by the
Lander Hazard Detection and Avoidance Camera (LHDAC).This camera that assists in locating a safe landing area — without boulders or deep trenches — during the descent is developed by ISRO… pic.twitter.com/rwWhrNFhHB
— ISRO (@isro) August 21, 2023
চাঁদের এই ছবি তুলে পাঠিয়েছে বিক্রম ল্যান্ডারে লাগানো ক্য়ামেরা। ইসরোর তরফে ওই ছবিগুলি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, চাঁদের একদম কোণের ছবি এগুলি। ল্যান্ডারের হ্যাজার্ড ডিটেকশন অ্যান্ড অ্যাভয়ডেন্স ক্যামেরা ছবিগুলি তুলেছে। ইসরোর তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই ক্য়ামেরা চন্দ্রযানের ল্য়ান্ডার বিক্রম যাতে সুরক্ষিতভাবে ল্যান্ড করতে পারে, সে কাজে সাহায্য় করবে। এই ক্যামেরাতে চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা গভীর খাত ও বোল্ডারগুলি ধরা পড়বে। ল্যান্ডারে থাকা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে চন্দ্রযান সুরক্ষিতভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে।
এর আগে শনিবার যে ছবিগুলি পাঠিয়েছিল চন্দ্রযান-৩, তাতে চাঁদের যে খাতগুলি ধরা পড়েছে, তার নাম হল হায়ন (Hayn), বস এল (Boss L), মারে হামবল্ডটিয়ানম (Mare Humboldtianum) ও বেল’কোভিচ (Bel’kovich)।
রবিবার নতুন যে ছবিগুলি পাঠিয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার, তা লুনার হেমিস্ফিয়ারের। চাঁদ ও পৃথিবী সর্বদাই আবর্তিত হওয়ায় এই অংশ কখনওই সামনে আসে না।
প্রসঙ্গত, আগামী বুধবার যদি চন্দ্রযান-৩ সুরক্ষিতভাবে অবতরণ করে, তবে রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পর চতুর্থ দেশ হবে ভারত, যা চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে।