BJP: দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বিজেপি: নাড্ডা

Rajib Khan | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Aug 07, 2023 | 9:40 PM

Awami League: বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

BJP: দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বিজেপি: নাড্ডা
বিজেপি সভাপতি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশের শাসকদলের প্রতিনিধিদের।
Image Credit source: টিভি৯ বাংলা

Follow Us

নয়া দিল্লি: বাংলাদেশের শাসকদল, আওয়ামী লীগের (Awami League) সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী BJP। সোমবার দিল্লিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনই জানালেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J.P Nadda)। তিনি বলেন, “আমাদের দল এই অঞ্চলে (দক্ষিণ এশিয়া) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাস দমনের স্বার্থে অতীতের মতো আগামীতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”

জানা গিয়েছে, এদিন আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল জেপি নাড্ডার বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে। ওই বৈঠকের পরই নাড্ডা বলেন, “আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিজেপির দীর্ঘদিনের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং আগামী দিনগুলিতে আমরা দলীয় পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদার করে আমাদের এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।” এই বৈঠকে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জঙ্গি-দমন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক কাজকর্ম-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এদিন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সেদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডা. হাসান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অ্যারোমা দত্ত, সাংসদ ও অধ্যাপক মেরিনা জাহান।

এদিনের বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরেন নাড্ডা। তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তৎকালীন তরুণ সাংসদ ও পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ১৯৭১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন।” বর্তমানেও দুই দেশের সম্পর্ক অটুট জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।”

এদিন বিজেপি সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশ এখন সব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় দৃষ্টান্ত, যা দেখে আমরাও খুশি।” তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশেই নয়, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বর্তমান সরকারের আমলে দুই দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সমাধান হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে, যা দুই দেশের বন্ধুত্বের মাত্রাকে করেছে আরও শক্তিশালী। আমরা এ সম্পর্ক ধরে রাখতে দুই দেশের মধ্যেকার সরকারের চলমান সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই।”

নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক শেষে আওয়ামী লিগের প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের বৈঠক চলে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।” বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা বিজেপি সভাপতির সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিজেপির মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অতীতে দেশ দু’টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দলীয় বা সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছে।” এই সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো এগিয়ে যাবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিজেপি সভাপতির সঙ্গে আওয়ামী লিগের এদিনের বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত ছিল। এই বৈঠকের আগে বিজেপির দিল্লির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিরা আলাদা বৈঠক করেন। সেখানেও অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনায় দুই দেশ ও দুই রাজনৈতিক দলের বন্ধুত্বের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। বৈঠকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ে বলেন, “ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দুই বন্ধুপ্রতিম দল সবসময় এ সম্পর্ক অটুট রাখতে কাজ করে যাবে।”

বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দুই দেশের মধুর সম্পর্ক অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আলাদা।”

Next Article