শিলং: নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই অশান্তি(Post Poll Violence)। মেঘালয়ে (Meghalaya) জারি করা হল কার্ফু (Curfew)। বৃহস্পতিবারই মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশ হতেই অশান্তি শুরু হয় মেঘালয়ের জয়ন্তিয়া হিলে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে বচসা, মারপিটের জেরে বৃহস্পতিবারই মেঘালয়ের সাসনিয়াং গ্রামে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি করা হল। পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিল প্রশাসনের তরফে ফল প্রকাশের পরে দফায় দফায় অশান্তির জেরে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি কার্ফু জারি রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর থেকে সাসনিয়ং গ্রামে অশান্তি ও হিংসা খবর পাওয়া গিয়েছে এবং যদি এখনই পরিস্থিতি সামাল না দেওয়া না হয়, তবে হিংসা আরও ছড়াতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। হিংসা রুখতে ও শান্তি বজায় রাখতে এই অঞ্চলগুলিতে কার্ফু জারি করা হয়েছে।”
Meghalaya | The district administration of West Jaintia Hills has imposed curfew in Sahsniang village till further orders, following post-vote counting violence pic.twitter.com/yZ1n4sjqi4
— ANI (@ANI) March 3, 2023
জানা গিয়েছে, নির্বাচনের ফল প্রকাশ শুরু হতেই মেঘালয়ের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় অশান্তি শুরু হয়। সোহরা, মাইরাং সহ একাধিক এলাকায় পাথর ছোড়া, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মতো একাধিক অভিযোগ ওঠে। সাসনাংয়েও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকেরা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। এরপরই জেলা প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতি সামাল দিতে নামা হয়। অশান্তি রুখতেই জেলাশাসক বিএস সোহলিয়া পরবর্তী নির্দেশ না আসা অবধি কার্ফু জারি করার নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, সোহরাতে একটি সংবাদমাধ্যম ভুলবশত এনপিপি প্রার্থীকে জয়ী হিসাবে ঘোষণা করে দেওয়ার কারণেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। ইউডিপি প্রার্থী জয়ী হতেই এনপিপি সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে, পাথর ছুড়তে শুরু করেন।
উল্লেখ্য, মেঘালয়ের নির্বাচনে শাসক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বা এনপিপি ২৬টি আসনে জয়ী হয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এনপিপি নেতা কনরাড সাংমা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহে সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সরকার গঠনে সমর্থনের আবেদন জানান। বিজেপিও সমর্থন জানাতে রাজি হয়েছে।