নয়া দিল্লি: হাইভোল্টেজ শুক্রবার আজ। লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ আজ। মোট ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই আসনগুলির মধ্যে ৫৬টি আসনে জিতেছিল বিজেপি শাসিত এনডিএ। অন্যদিকে, ইউপিএ জিতেছিল ২৪টি আসনে। প্রথম দফার নির্বাচনে যেখানে সবথেকে ধনী প্রার্থী ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী তথা মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে নকুল নাথ। সেখানেই এবারও সবথেকে ধনী প্রার্থী সেই কংগ্রেসেরই।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সবথেকে ধনী প্রার্থী হলেন কর্নাটকের কংগ্রেস প্রার্থী ভেঙ্কটরমন গৌড়া। তিনি স্টার চান্দ্রু নামেও পরিচিত। জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৬২২ কোটি টাকা। এবারের নির্বাচনে তিনি এইচডি কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় ধনী প্রার্থীও কংগ্রেসের। কর্নাটকের প্রাক্তন সাংসদ ডিকে সুরেশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫৯৩ কোটি টাকা। তাঁর দাদা ডিকে শিবকুমার কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের সবথেকে ধনী প্রার্থী ছিলেন। ডিকে সুরেশ বেঙ্গালুরু গ্রামীণ আসন থেকে তৃতীয়বারের প্রার্থী হয়েছেন।
তৃতীয় ধনী প্রার্থী হলেন বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী হেমা মালিনী। মথুরা লোকসভা আসন থেকে লড়ছেন তিনি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২৭৮ কোটি টাকা।
মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় শর্মা চতুর্থ ধনী প্রার্থী, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২৩২ কোটি টাকা।
পঞ্চম স্থানে রয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২১৭.২১ কোটি টাকা।
লোকসভা নির্বাচনে ধনী প্রার্থীরা যেমন রয়েছেন, তেমন গরিব প্রার্থীরাও রয়েছেন। এই দফায় সবথেকে গরিব প্রার্থী হলেন নাগোরাও পাটিল। মহারাষ্ট্রের নান্দেদ আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তিনি। জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর সম্পত্তি বলতে মোটে ৫০০ টাকা রয়েছে। স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই।
এরপরেই রয়েছেন আরেক নির্দল প্রার্থী, রাজেশ্বরী কেআর। তিনি কেরলের কাসারাগড় আসন থেকে লড়ছেন। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০০০ টাকা।
পৃথ্বীসম্রাট মুকিন্দ্রাও দীপাংশ নামক আরেক নির্দল প্রার্থী, যিনি অমরাবতী আসন থেকে দাঁড়িয়েছেন, তার সম্পত্তির পরিমাণ ১৪০০ টাকা।
রাজস্থানের যোধপুরের দলিত ক্রান্তি দলের নেতা শাহনাজ বানোর সম্পত্তি ২০০০ টাকা।