শিলং: মেঘালয়ে নির্বাচন এগিয়ে এসেছে। শেষ মুহূর্তের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল। শাসক, বিরোধী সব দলই এখন জনসভা থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে। আজ গাড়োতে রাজাবালায় জনসভা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকেই কার্যত ২৪-র নির্বাচনের জন্য এক ধাপ এগিয়ে বক্তব্য রাখলেন মমতা। এ দিন সভায় লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যও বেঁধে দিলেন। তিনি এ দিন মেঘালয়বাসীকে রাজ্যে বদল আনার অনুরোধ জানান। তাহলে দিল্লিতে তৃণমূল কেন্দ্রে বদল আনবে। তিনি বলেছেন, রোগ হলে ওষুধ লাগে। তৃণমূল হল দেশের রাজনৈতিক দাওয়াই। এ দিন মেঘালয়ের সভা থেকে বিজেপিকে এইভাবেই চ্যালেঞ্জ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “মেঘালয়ে তৃণমূলকে জিতিয়ে দিন। আগামিদিনে তৃণমূল দিল্লি থেকে বিজেপিকে হটাবে। এই শপথের সূচনা আপনারা মেঘালয় থেকে করুন।” তিনি বলেন, “যখন মানুষের রোগ হয় তখন তাঁদের আসল ওষুধের প্রয়োজন হয়। আর এই আসল ওষুধ হল গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার। তৃণমূলকে ভোট দিন। আর আমরা বিজেপিকে রাজনৈতিক দাওয়াই দেব গোটা দেশ থেকে ধুয়ে মুছে যাওয়ার জন্য।” মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাহুল সিনহা বলেছেন, “দিল্লি-গোয়া কত জায়গা হল। যেখানেই গিয়েছে সেখানেই মানুষ হাতে একটা রসগোল্লা দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে। শূন্য হাত ছাড়া কিচ্ছু হয়নি। যাদের পাঁচটা লোক নেই তারা মেঘালয়ে পরিবর্তন আনবে। এগুলো অলীক স্বপ্ন। জেগে জেগে কিছু লোক স্বপ্ন দেখে। তার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন। মেঘালয় থেকে তিনি সমগ্র দেশে পরিবর্তন আনবেন। মেঘালয় আর দেশের মাপ কতটা এই আন্দাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োাপাধ্য়ায়ের আছে? তাই আমি মনে করি আগে মেঘালয়ে একটি আসন পেয়ে দেখাক, তারপর পরিবর্তনের ডাক দেবেন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ওষুধ বিজেপিকে ধুইয়ে দেবে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”রাজনৈতিক দাওয়াই দিয়ে ধোওয়াতেই তো এত জায়গায় গিয়েছিল। দিল্লি, গোয়াতে গিয়েছিল, উত্তর প্রদেশে গেল। কিন্তু কোথাও কোনও সুবিধা করে উঠতে পারল না। একটা জায়গাতেও এই ওষুধ কাজ দিল না। কারণ এটা জাল ওষুধ। এই ওষুধ কতটা জাল এবং এর প্রভাব কতটা তা কলকাতা হাইকোর্ট আর জেল দেখলেই বোঝা যাবে। এই ওষুধ মানে সবাই মিলে জেলে চলো।”
এ দিন মেঘালয়ে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, হিংসার মাধ্যমে ত্রিপুরায় ৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এবং মেঘালয়ে যাতে কোনওরকম ছাপ্পা ভোট না পড়ে তাই সকল প্রার্থীকে সজাগ থাকতে বলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলে, “পশ্চিম বাংলায় যে জাতীয় হিংসা হয়েছে ত্রিপুরায় যদি এই ধরনের নির্বাচনের ৫০ শতাংশও ধরা হয় হয়েছে বলে তাহলেও এখানাকার পুরসভা নির্বাচনে হিংসার রেকর্ড যাবে না। আর পঞ্চায়েত নির্বাচন ধরলে তা অকল্পনীয় অবস্থা। এই কারণে যাঁরা রাজ্যটিকে সন্ত্রাসবাদীদের রাজ্য বানিয়ে রেখেছে তারা, পাঁচদিনে পাঁচটা শ্যুটআউট হয়, যত্রতত্র অস্ত্র, বোমা উদ্ধার হয় তিনি আবার দাওয়াই দেবেন? কীসের দাওয়াই?” তিনি বলেন,”বোমা রাখার দল তৃণমূল কংগ্রেস। চোর রাখার দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই দলের কোনও ভবিষ্যৎও নেই এবং দেশের কোনও মানুষের তাঁদের উপর ভরসাও নেই।”