কুলু: হিমাচলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। চোখের নিমেষে ধুলোয় মিশে গেল একের পর এক বাড়ি। হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলায় ভয়াবহ ধসের জেরে গুড়িয়ে গেল পরপর কমপক্ষে সাতটি বাড়ি। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল আলগা মাটি ও পাথর। মৌসম ভবনের তরফে আগামী দুইদিনের জন্য হিমাচল প্রদেশে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।
বর্ষার শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দুই রাজ্যেই ধস ও হড়পা বান নেমেছে লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে। গতকাল, বুধবারও হিমাচল প্রদেশে মেঘভাঙা বৃষ্টি নেমেছিল। এদিন সকালে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার থাকলেও, বৃষ্টির কারণে এদিন ধস নামে কুলুতে। পাহাড়ের গায়ে ব্য়াঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা একের পর এক হোটেল-বাড়ি ভেঙে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কমপক্ষে সাত থেকে নয়টি বহুতল ভেঙে পড়েছে। বহু মানুষের আহত ও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধসের খবর মিলতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এসডিআরএফ। খবর দেওয়া হয়েছে এনডিআরএফ-কেও। ধসের জেরে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
This is what, a man made disaster…
We don’t have the right to blame nature for this…
Mindless construction!
Several houses collapse during a massive landslide in Himachal Pradesh’s #Kullu, many feared trapped.#HimachalDisaster#HimachalFloods#ClimateCrisis pic.twitter.com/SQVhZf3xkR
— The Environment (@theEcoglobal) August 24, 2023
গতকালও যে ভারী বৃষ্টি হয়েছিল, তাতে কুলু-মান্ডি হাইওয়েতে ধস নামে। এর জেরে শতাধিক গাড়ি আটকে পড়েছে। কুলুর পুলিশ আধিকারিক সাক্ষী ভর্মা জানিয়েছেন, কুলু ও মান্ডির মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পান্ডোহ দিয়ে যে বিকল্প রাস্তা ছিল, তাও ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যান-চলাচল স্থগিত রয়েছে।
Several houses collapse in a landslide near a bus stand in Anni Town of Kullu, #HimachalPradesh pic.twitter.com/isAHVk4xwU
— cliQ India (@cliQIndiaMedia) August 24, 2023
ভারী বৃষ্টির জেরে হিমাচল প্রদেশ জুড়েই বিপর্যয় নেমেছে। একাধিক জায়গায় ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বান নেমেছে। রাজ্য সরকারের তরফে গত সপ্তাহেই হিমাচল প্রদেশের এই বিপর্যয়কে প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে রাজ্যের ৭০৯টি সড়ক ধসের জেরে বন্ধ রয়েছে। কমপক্ষে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, হিমাচলে চলতি বর্ষার মরশুমে ১১৩টি ধস নেমেছে। ২ হাজারেরও বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে, আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে নয় হাজারের বেশি বাড়ি। গত ২৪ জুন থেকে এখনও অবধি রাজ্যে প্রায় ৮০১৪.৬১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।