শিলং: নির্বাচন ঘিরে ধীরে ধীরে উত্তাপ বাড়ছে পাহাড়ি রাজ্যে। মেঘালয়ে (Meghalaya) আজ একদিকে যেমন সভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে জনসভা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। এ দিন সভা থেকে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন মমতা। এদিকে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে সহিংসতার কথা নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি আরও বলেন, বিজেপির সুবিধা করে দিতে বিভিন্ন রাজ্য়ে গিয়েছে তৃণমূল। রাহুলের এই বক্তব্যের পরই কংগ্রেস নেতাকে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee)। পাল্টা তৃণমূলের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে অভিষেকের মন্তব্যের কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী।
এ দিন অভিষেক টুইটে জানান, বিজেপিকে রুখে দিতে অসফল হয়েছে কংগ্রেস। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “বিজেপিকে রুখতে ব্যর্থ কংগ্রেস। তাদের অপ্রাসঙ্গিকতা, অযোগ্যতা ও নিরাপত্তাহীনতা থেতে তাঁরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আমাদের আক্রমণ করার বদলে আমি তাদের নিজেদের অহংকারের রাজনীতি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।” আজ সভা থেকে তৃণমূলকে তোপ দেগে রাহুল বলেছেন, “তারা গোয়ায় এসেছিল এবং বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেছিল। কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিজেপিকে সাহায্য করা। আর মেঘালয়ে তৃণমূলের ভাবনা বিজেপি যাতে ক্ষমতায় আসে তা নিশ্চিত করা।” ”
রাহুলের এই বক্তব্যের জবাবে আরেকটি টুইটে অভিষেক লিখেছেন,”তাহলে এই একই যুক্তিতে বাংলায় নির্বাচনে কংগ্রেস যখন ৯২ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল তখন বিজেপিকে সাহায্য করার বিষয়ে এটা কি তাঁদের চিন্তাভাবনা ছিল? তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্য বেশ জোরাল। বিশেষত এমন কোনও দল এই মন্তব্য করছে যারা ভারতে গত ৪৫ টি নির্বাচনের মধ্যে ৪০ টিতেই হেরে গিয়েছে।” অভিষেকের দু’ঘণ্টা আগেই রাহুলের বক্তব্যের কটাক্ষ করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে তিনি যে কথাগুলো বলছেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর। আমরাও খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি সনিয়া গান্ধী একজন শ্রদ্ধেয়া নেত্রী। কিন্তু রাহুল গান্ধী একজন অপদার্থ নেতা। বারবার সুযোগ পান। তাঁকে সামলাতে আবার বারবার মাকে এসে আঁচল দিয়ে আড়াল করতে হয়। সেই নেতা যদি ঘুরে ঘুরে এত বড় বড় কথা বলেন তাতে দলের গুরুত্ব আরও বেশি নষ্ট হয়।”
এদিকে অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “শিক্ষক নিয়োগের নামে টাকা চুরি, ১০০ দিনের কাজের টাকা চুরি, এগুলো তো তৃণমূলের কাছে নৈতিক। রাহুল গান্ধী সত্যি বললে তো গায়ে লাগবেই। এটা তো সত্যি, বহু ঘটনায় স্পষ্ট প্রমাণ, আজকের তৃণমূল বিজেপিকে সাহায্য করছে। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সেটা দেখা গিয়েছে। দার্জিলিঙে বৈঠকের পর বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হয়ে চলে গেলেন। বিজেপির লক্ষ্য কংগ্রেস মুক্ত ভারত। তৃণমূলের লক্ষ্য, কংগ্রেসকে খতম করো, বিজেপিকে সাহায্য করে। রাহুল গান্ধী স্পষ্টবাদী। তিনি সত্য কথা বলছেন। মেঘালয়ের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিলে ভুল করবেন।”