মেঘালয় : বাংলার বাইরে ফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল (TMC)। ত্রিপুরার পর মেঘালয়ে প্রচারেও কোনও খামতি ছিল না ঘাসফুল শিবিরের। একাধিকবার সে রাজ্যে গিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বৃহস্পতিবার সেই মেঘালয়ের (Meghalaya) বিধানসভা নির্বাচনের গণনা শুরু হতেই বেশ কয়েকটি আসনে এগিয়ে গেল তৃণমূল। প্রাথমিক ট্রেন অনুযায়ী তৃণমূল অন্তত ১৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। একেবারে শুরুর দিকে হলেও এই ট্রেন্ড হাসি ফোটাচ্ছে তৃণমূল শিবিরে। বাংলার বাইরে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে মেঘ-রাজ্যের রাজনীতিতে অন্তত একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেওয়া যাবে বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। এদিকে, বৃহস্পতিবারই মেঘালয়ে যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মেঘালয়ে ৬০টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ধাঁচে প্রকল্পও ঘোষণা করা হয়েছিল সেখানে। ভোটের ঠিক আগে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া উঠেছিল মেঘালয়ে। এমনকী বিজেপির সঙ্গেও কনরাড সাংমার দল এনপিপি-র সম্পর্কে চিড় ধরেছে। কংগ্রেসের অবস্থানও খুব একটা ভাল ছিল না। এরই মধ্যে মুকুল সাংমা বেশ কয়েকজন জনকে নিয়ে দল ছাড়েন। সেই মুকুলের ওপর ভরসা করেই মেঘালয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তৃণমূলের।
এখনও পর্যন্ত এনপিপি এগিয়ে রয়েছে ১৪ টি আসনে, বিজেপি ৫ টি ও অন্যান্য দল ২৩ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, সরকার গঠন না করতে পারলেও বিরোধী হিসেবে একটা বড় ভূমিকা নিতে পারে তৃণমূল। আর সেটাও আপাতত তৃণমূলের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।