আগরতলা: ভোট পর্ব মিটেছে, ফল প্রকাশও হয়ে গিয়েছে। এবার শুরু হয়ে গিয়েছে দোষারোপের পালা। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের (Tripura Assembly Election 2023 Results) পরই দেখা গিয়েছে, সরকার থাকছে বিজেপির দখলেই। ৬০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৩টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি-আইপিএফটির জোট (BJP-IPFT Alliance)। বিরোধী দলগুলির মধ্যে প্রদ্যোত দেববর্মার দল তিপ্রা মোথা (Tipra Motha) পার্টি প্রথমবার নির্বাচনে লড়েই ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট (CPIM-Congress Alliance) পেয়েছে ১৪টি আসন। বিজেপিকে রুখতে না পেরেই এবার দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে সিপিএম ও তিপ্রা মোথার মধ্যে। একদিকে, তিপ্রা মোথা যেমন অভিযোগ করেছে যে সিপিএমের কারণে ভোট কাটাকাটি হয়েছে, এর ফলে তিপ্রা মোথাকে হারতে হয়েছে। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোটেরও অভিযোগ, তিপ্রা মোথার কারণেই জিততে সুবিধা হয়েছে বিজেপির।
নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর থেকেই অভিযোগ উঠেছে, ত্রিপুরায় দ্বিতীয় দফায় বিজেপির জয়ের পিছনে অন্যতম হাত রয়েছে তিপ্রা মোথার। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে তিপ্রা মোথার ‘কিং মেকার’ হয়ে ওঠার কথা ছিল, সেখানেই তাদের কারণে কমপক্ষে ২৬টি আসনে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। যদি তিপ্রা মোথা না থাকত, তবে এই ভোটগুলি বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে যেত এবং ত্রিপুরায় পাশা উল্টে সরকার গঠন করত এই নতুন জোট।
শনিবারই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, “এটা অত্যন্ত অপ্রত্য়াশিত ফল, কারণ যে সরকারের পারফরম্যান্স শূন্য, গণতন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে, এমনকী ভোটাধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেই সরকারই আবার ক্ষমতায় ফিরছে। নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের ফলাফল সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলছে। একটা বিষয় স্পষ্ট যে ৬০ শতাংশ মানুষই বিজেপিকে ভোট দেননি। বিজোপি-বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হয়েছে। বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরতে সাহায্য করা হয়েছে। আমি কোনও দলের নাম নেব না, তবে সকলেই বুঝতে পারছেন কে বা কারা সাহায্য করেছে।”
অন্যদিকে, তিপ্রা মোথার নেতা পরিতোষ দেববর্মাও বাম-কংগ্রেস জোটকে আক্রমণ করে বলেন, “বহু আসনে সিপিএম ভোট কেটে নেওয়ায় আমাদের হারতে হয়েছে। সুতরাং বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার কারণেই বিজেপি যে ক্ষমতায় ফিরেছে, তা স্পষ্ট।”