আগরতলা: বয়স মাত্র ১৫ বছর। এই অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল বাড়ির চাপে। আট মাসের দাম্পত্য জীবন, তার মধ্য়েই মর্মান্তিক পরিণতি হল কিশোরীর। নিজের স্বামীর হাতেই খুন হল নাবালিকা। তাও আবার চরম নৃশংসভাবে। জানা গিয়েছে, নাবালিকা স্ত্রীকে খুন করে অভিয়ুক্ত ব্যক্তি দুই টুকরো করেন। একটি ব্যাগে তাঁর মাথা ভরেন, আরেকটি ব্যাগে ভরেন তাঁর দেহ। এরপরে দুটি ব্য়াগ নিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ফেলে দিয়ে আসেন। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম তনুজা বেগম। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ঘণ্টা খানেক খোঁজার পর পুলিশ দুটি ব্যাগ উদ্ধার করে। তার ভিতর থেকেই দুই খণ্ড দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তনুজা বেগম নামক ওই কিশোরীর গত আট মাস আগে কায়েম মিঞা নামক এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। গত শুক্রবার সকালে তনুজার মা জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে নিখোঁজ। এরপরই তিনি মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে তাঁর মেয়ে বা জামাই – কাউকেই খুঁজে পাননি। ঘরে রক্তের দাগ দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি কান্নাকাটি জুড়লে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর দুটি পরিত্যক্ত ব্য়াগ উদ্ধার করে। ব্য়াগ খুলতেই দেখা যায়, একটি ব্যাগের ভিতরে কাটা মুণ্ডু রাখা, অপরটিতে বাকি দেহ রাখা। এরপরই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ওই কিশোরীর স্বামীকে গ্রেফতার করে। জেরায় জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তনুজাকে খুন করে কায়েম। এরপরে তাঁর দেহ দুই টুকরো করে দুটি ব্যাগে ভরেন এবং জঙ্গলে ফেলে আসেন।