কলকাতা: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে বিভিন্ন জায়গায় জয়ী প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে এমনই ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদের নওদাতেও এই একই অভিযোগ। কংগ্রেস ও আরএসপির তিন প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টে নওদার ঘটনায় মামলাও হয়। আর সেই মামলার শুনানি ছিল আজ সোমবার। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে ওই তিন প্রার্থীকে হাজিরের নির্দেশ দিল আদালত। কংগ্রেস ও আরএসপির তিন ‘অপহৃত’ প্রার্থীকে এখনই খুঁজে বের করে ১১ অগস্ট বোর্ড গঠনে হাজির করতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ। মুর্শিদাবাদের নওদার চাঁদপুর গ্রামপঞ্চায়েত। ১১ তারিখ সেখানে বোর্ড গঠন হবে। এদিকে অভিযোগ ওঠে, বোর্ড গঠনের আগে এখানকার তিনজন বিরোধী জয়ী প্রার্থীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিন আদালত মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়, এই নির্বাচিত জয়ী প্রার্থীদের খুঁজে বের করতে হবে। একইসঙ্গে তাঁদের পরিবারকে অবিলম্বে আলাদা আলাদা ভাবে পুলিশি সুরক্ষা দিতেও নির্দেশ দেন বিচারপতি। অগস্ট বোর্ড গঠনের দিন নওদা বিডিও অফিসে তাঁদের হাজির করতে এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। ১০ অগস্ট এ নিয়ে পুলিশ সুপারকে রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সূত্রের খবর, ওই তিন নির্বাচিত প্রার্থী নাকি ইতিমধ্যে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তেমনটা না হলে কংগ্রেস এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়। তবে তিন প্রার্থী তৃণমূলে গেলে ঘাসফুল শিবিরও এই পঞ্চায়েতে সমান শক্তির দাবিদার। চাঁদপুর গ্রামপঞ্চায়েতে মোট ২০ আসন। এরমধ্য়ে ১১টি পেয়েছে কংগ্রেস,৭টি গিয়েছে তৃণমূলের দখলে, আরএসপি পেয়েছে ২টি।