কলকাতা: সম্প্রতি ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারও শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মধ্যে বদলে গেল ধূপগুড়ির বিডিও। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শঙ্খদীপ দাস আর ধূপগুড়ির বিডিও থাকছেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট বিতর্কে জড়িয়েছিলেন শঙ্খদীপ দাস। হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ভোটের ঠিক আগে তাঁর বদলির অর্ডার আসায় বেড়েছে জল্পনা। যদিও রুটিন বদলি বলেই দাবি প্রশাসনের একাংশের।
শঙ্খদীপ দাসকে বিডিও পদ থেকে সরিয়ে পাঠানো হল জলপাইগুড়ি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেকটর পদে। আর সেই পদ থেকে সরিয়ে ধূপগুড়ির বিডিও পদে আনা হল জয়ন্ত রায়কে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। ৮ সেপ্টেম্ব হবে ফল প্রকাশ। তার আগেই সরানো হল বিডিও-কে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে যে একগুচ্ছ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে, তার মধ্যে একটি মামলা করেছিলেন শাকোয়াঝোরা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যতম প্রার্থী শাহনাজ পারভীন। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে থেকে কীভাবে ৪৭ টি ব্যালট উদ্ধার হল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিডিও-কে। শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ ছিল, মোট ২৮৯ টি ব্যালটে ভোট গ্রহণ হওয়া সত্ত্বেও গণনার সময় দেখা যায় ২৯৬টি।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে চলা শুনানিতে উঠে আসে, ব্যালট হারিয়ে যাওয়ার কথা জানতেন না বিডিও। বিডিও শঙ্খদীপ দাসও এমন দাবিও করেছিলেন যে, পরে বাক্সে ঢোকাবেন বলেই নিজেই নাকি সরিয়ে রেখেছিলেন ব্যালট। এ কথা শুনে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। এখনও সেই মামলা চলছে হাইকোর্টে। এরই মধ্যে বিডিও পদ থেকে সরানো হল শঙ্খদীপ দাসকে। তবে এই মামলার সঙ্গে বদলির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি নবান্নের।