কলকাতা: অবশেষে যাদবপুরে (Jadavpur University) বসছে সিসিটিভি। প্রতিটি গেটে সিসিটিভি লাগানোর ভাবনা। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে ১১টি সিসিটিভি বসতে চলেছে যাদবপুরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ক্ষেত্র অরবিন্দ ভবনকে মুড়ে ফেলা হবে সিসিটিভিতে। একইসঙ্গে, হস্টেলের গেটে সিটিটিভি লাগানোর চিন্তাভাবনাও শুরু হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে ল্যাবে যে সিসিটিভিগুলো কাজ করছেন সেগুলো সক্রিয় করা হবে। পাশাপাশি মেয়েদের হস্টেলেও বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, প্রথমবর্ষের ছাত্রমৃত্যুর পর থেকে বারবারই প্রশ্নের মুখে পড়েছে যাদবপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ব়্যাগিংয়ের অভিযোগের মধ্যে অনেকেই বলছেন, আজ সিসিটিভি থাকলে সহজেই দোষীদের ধরা যেত। নিরাপত্তা বাড়াতে গত বৃহস্পতিবার যাদবপুরে বিশেষ বৈঠকে বসে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ হয় মাদক। বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়ে দেন, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করার সময় দেখা হবে পরিচয়পত্র। নিরাপত্তারক্ষীদের এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অ্যালকোহল ও ড্রাগ নিষিদ্ধ বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন। তারপরও অভিযোগ উঠতে থাকে ঠিকভাবে মানা হচ্ছে না নির্দেশ।
সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন আপাতত হস্টেল ও ক্যাম্পাসের গেটগুলিতে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সর্বত্র সিসিটিভি বসানো যায় কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি। এরইমধ্যে এবার সিসিটিভি বসতে চলায় তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা। যদিও এদিন আবার যাদবপুরের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট’স ইউনিয়ন বা আফসু (AFSU) সাফ জানিয়ে দিয়েছে সিসিটিভি বসানোর আগে সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। তারপরই নিতে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এই আফসু আবার এসএফআই নিয়ন্ত্রণাধীন। সিসিটিভি নিয়ে তরজার মধ্যেই বামেদের কড়া আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের ছাত্র নেত্রী রাজন্য মজুমদারকে। তাঁর মত, “ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগালে ওদের আদর্শের মুখোশের আড়ালে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। সে কারণেই ওরা সিসিটিভির বিরোধিতা করছে।”