কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (JU Student Death) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১৩। ১২ জনকে প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়াকে নির্যাতনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বারবার সামনে এসেছে ইঞ্জিনিয়রিংয়ের ফেটসুর নেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে আলুর নাম। তিনি কোথায়, সেই খোঁজে ক্যাম্পাসে পড়েছে পোস্টার। ঘটনায় তাঁর যোগ নিয়ে বাড়তে থাকে চাপানউতর। এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত করছে যাদবপুরের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও। সূত্রের খবর, অরিত্রকে এবার তলব করেছে যাদবপুরের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। আগামীকাল সকাল ১১.৩০ ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এর আগে সোমবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, সেই বার্তা তাঁর কাছে না পৌঁছানোয় এদিন ফের তাঁকে তলব করা হয়।
সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রভাবশালী’ ছাত্রনেতা হিসাবে পরিচিতি রয়েছে অরিত্র মজুমদারের। তাঁর কথাতেই একসময় ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের সমস্ত জিবি বৈঠক, আন্দোলন পরিচালিত হত। সর্বদাই আন্দোলনের সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্বও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্ত, এ ঘটনা চলাচালীন কেন সে অনুপস্থিত, কেন তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ উঠে আসছে, এ বিষয়গুলি নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
যদিও ফেসবুক পোস্টে ইতিমধ্যেই অরিত্রর দাবি করেছেন ঘটনার পরের দিন তিনি দিল্লি যান। সেখান থেকে কাশ্মীর। তিনি যে কাশ্মীর গিয়েছিলেন তাঁর প্রমাণ দিতে ফ্লাইটের টিকিটের ছবিও পোস্ট করেছেন। তারপরও থামছে না বিতর্ক। টিকিট নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। অন্যদিকে রেজিস্ট্রার খাতায় আবার তাঁর সই নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। এরইমধ্যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাঁকে ডেকে পাঠানোয় তা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চা। এরইমধ্যে পুলিশ সূত্রে খভর, ছাত্রকে নগ্ন করে র্যাগিং করা হয়েছে। সেই তথ্য প্রমাণ মিলেছে। তাই এবার ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে প্রথমে ধৃত ১২ জনই উপস্থিত ছিলেন। ধৃতদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এদিনই আবার আরও তথ্য় পেতে হস্টেলের রাঁধুনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।