কলকাতা: র্যাগিং রুখতে এবার ‘ইসরো-অ্যাকশন’ আচার্য সিভি আনন্দ বোসের। বৃহস্পতিবারই ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল তথা রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে র্যাগিংয়ের প্রবণতা রোখা যায়, তা নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই কথা বলেন তিনি। শুক্রবার মালদহ যাওয়ার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে ফোন করেন রাজ্যপাল। পরিকল্পনার বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ, উপাচার্যের কাছে জানতে চান বোস। ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে কথা হয় বলেই সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবারই রাজভবনে যাদবপুরের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে ডেকে পাঠান আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, ইউজিসির সম্পূর্ণ নিয়মবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে যাবতীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। প্রয়োজন হলে অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতিকে দিয়ে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্তও করানো যেতে পারে বলে পরামর্শ দেন তিনি। সূত্রের খবর, আচার্য উপাচার্যকে নির্দেশ দেন, দরকার হলে ছাত্রমৃত্য়ুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি রয়েছে, তা পুনর্গঠন করতে পারেন।
এরপরই শুক্রবার আবারও মালদহ যাওয়ার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে উপাচার্যকে ফোন করেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে জানতে চান, বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, র্যাগিং রোধে কীভাবে ইসরোর প্রযুক্তি কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে দ্বিধায় খোদ উপাচার্য।
উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “ইসরোর একজন কনট্যাক্স পার্সনের নাম দিয়েছেন। মূলত বহিরাগতদের যাতায়াত নজরে রাখা যায় কি না সেটা দেখার জন্য। ইসরো বলেছে করা যাবে। আমি জানি না কোন প্রযুক্তিতে হবে। আমাদের এখানে প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়া। ৫০০-৬০০ শিক্ষক। নন-টিচিং স্টাফও অনেক। ১০ হাজারের ফেস রিকগনেশন করে একইসঙ্গে বহিরাগতদের চেক করার টেকনোলজি আছে কি না আমি নিশ্চিত নই।”