কলকাতা: তৃণমূল ভবনের বৈঠক থেকে দলের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। শনিবার মালদহ, মুর্শিদাবাদ নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক হয় তৃণমূল ভবনে। সেখানেই আলাদাভাবে হুমায়ুন কবীরকে থাকতে বলা হয়েছিল বলেই সূত্রের দাবি। সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিমরা বৈঠক থেকে এদিন জানিয়ে দেন, ‘কোনও আলটপকা মন্তব্য করা যাবে না’। বলে দেওয়া হয়, দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে চলতে হবে হুমায়ুনকে। এদিক ওদিক কোনও মন্তব্য করা যাবে না।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবারের বৈঠকে হুমায়ুনকে সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিমরা বলেন, বাইরে কথা বলে দু’ দিন হাততালি পাওয়া যায়। তারপরে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই সমস্যা থাকলে স্থানীয় নেতৃত্বকে জানাতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের জানানোর কথাও বলা হয়। দলের বিষয়ে বাইরে মুখ খোলা নিয়েও এদিন সতর্ক থাকতে বলা হয় বিধায়ককে। একইসঙ্গে দলের সহকর্মীদের নিয়েই যে চলতে হবে, সে বার্তাও দেওয়া হয়। এদিনের বৈঠক থেকে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়ে দেন, সকলকে মিলেমিশে একসঙ্গে লড়তে হবে। দলের ঐক্যবদ্ধ চেহারা তুলে ধরাই দলের সমস্ত সৈনিকের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। একইসঙ্গে দল যাকে যে দায়িত্ব দেবে, সকলকেই তা মেনে চলার কথা বলেন ফিরহাদরা।
সূত্রের খবর, এদিন সার্বিকভাবে সমস্ত নেতা কর্মীদেরও ভূমিকা নিয়েও দলের অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়। সামনেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। সেই বোর্ড গঠন নিয়ে দলকে যাতে কোনওভাবে বিব্রত হতে না হয়, তার জন্যও আগাম সুর বেধে দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠক থেকে। এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচনে সমস্যা হলে সব পক্ষের কথা শুনতে হবে। প্রধান কিংবা উপপ্রধান-সহ বোর্ড গঠন শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে করতে হবে।
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা টিকিট না পাওয়ার খেদ উগরে দেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে। পাল্টা তাঁকে জানানো হয়, দল যাকে টিকিট দিয়েছে, তাকেই মানতে হবে। পছন্দ হোক না হোক, দলের নির্দেশই শিরোধার্য। দলের জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গী করে কর্মসূচি নিন, সঙ্গে রাখুন জয়ীদের, বৈঠক থেকে সে কথাও বলা হয়। সর্বোপরি দলীয় শৃঙ্খলাই যে শেষ কথা, তাও বারবার বুঝিয়ে দেওয়া হয় এদিন। সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিমরা জানিয়ে দেন, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। তা না হলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। বিজেপিই যে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সকলকে একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে, এদিন সে কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই জেলার নেতাদের।