JU Student Death: ‘প্রয়োজনে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক’, আদালতে ‘কাউন্সেলিংয়ের’ আবেদন মনোতোষ-দীপশেখরের

Supriyo Guha | Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 22, 2023 | 7:38 PM

JU Student Death: দীপশেখর দত্তর বাড়ি বাঁকুড়ায়। অন্যদিকে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি হুগলির আরমবাগে। মনোতোষ সমাজবিজ্ঞান ও দীপশেখর অর্থনীতির ছাত্র।

JU Student Death: ‘প্রয়োজনে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক’, আদালতে ‘কাউন্সেলিংয়ের’ আবেদন মনোতোষ-দীপশেখরের
ধৃত দীপশেখর, মনোতোষ
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (JU Student Ragging) এখনও পর্যন্ত মোট গ্রেফতার ১৩। প্রথমেই গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। তারপরই মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরে বাকিদের। দীপশেখর দত্তর বাড়ি বাঁকুড়ায়। অন্যদিকে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি হুগলির আরমবাগে। মনোতোষ সমাজবিজ্ঞান ও দীপশেখর অর্থনীতির ছাত্র। এদিন আদালতে সওয়াল জবাবের সময় দু’জনেই জেল হেফাজতের আবেদন করেছেন বলে খবর। করেছেন কাউন্সেলিংয়ের আবেদনও।

এদিন আদালতে সওয়াল জবাবের সময় মনোতোষ বলেন, “আমি ওই পড়ুয়াকে হস্টেলে থাকার সব কিছু বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলাম। সেই জন্য আমার নাম এসেছে। যে দিন ঘটনা ঘটে সেদিন আমি জিবি মিটিংয়ে ছিলাম। ওই ঘটনায় ছিলাম না। ১৯ তারিখ আমার বাড়ি থেকে একটা ডাইরি নিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে থেকে আমি কিভাবে ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলাম সে সব লেখা পেয়েছে। সেই সব তথ্য নিয়ে কি কোনও ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে? আমার মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। একদিন অন্তর কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। সেই রিপোর্ট কোর্টের কাছে পেশ করার অবেদন। প্রয়োজনে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব। আমি গরিব পরিবারের ছেলে। আমার ভবিষ্যৎ কী হবে?”

খানিক একই সুর দীপশেখর দত্তের গলায়। তিনি বলেন, “আমি দ্বিতীয়বর্ষে পড়ি। আমি নিজেই ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়ে ১ বছর পার করেছি। এতদিন এই হস্টেলেই আছি। আমার নাম কোথাও নেই। পুলিশ হেফাজতে থেকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। আমারও একদিন অন্তর কাউন্সেলিং করার আবেদন করছি।” সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে এদিন বিচারক সৌরভের ২৫ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত ও দীপশেখর এবং মনোতোষের ২৬ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত খবর, বিবস্ত্র করেই প্রথমবর্ষের ওই পড়ুয়াকে র‌্যাগিং করা হয়েছিল। সেই প্রমাণও ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে এসেছে। যদিও দীপশেখরের বাবার বক্তব্য, তাঁর সন্তান র‌্যাগিং-এর সঙ্গে যুক্ত নয়।  ‘কোনও হস্টেলে থাকতে গেলে র‌্যাগিং-এর শিকার হতেই হয়। প্রাণ যদি কারও যায়, সেটা তো তাঁর ব্যাপার।’ এদিন তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে ফের উঠেছে বিতর্কের ঝড়।

Next Article