কলকাতা: “সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা। আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা কোনও অপরাধীও নই। অপরাধও করিওনি। আমরা গরিব বলে বিচার পাচ্ছি না। আমরা বিচার চাই।” দিন দু’য়েক আগে এ কথা বলেছিলেন যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরী (Sourav Choudhury)। তাঁর সাফ দাবি ছিল, সেদিন রাতে চোখের সামনেই বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্রকে ঝাঁপ মারতে দেখেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কোনওরকম র্যাগিং হয়নি বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদারের দাবি, সৌরভই কিংপিন। অভিযোগ, ঘটনার পুলিশি তদন্তে কী বলতে হবে তা হস্টেলে থাকা বাকি ছাত্রদের শিখিয়ে দিয়েছিলেন এই সৌরভ। তাঁর নির্দেশেই হয়েছিল জিবি মিটিং।
সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদারের দাবি, একটা হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। ‘সৌরভ এখানে থাকে না। মায়ের শরীর খারাপ, সেই কারণে মাঝে মধ্যে আসে’। এই টেক্সট লিখে সকলের মধ্যে সার্কুলেট করার চেষ্টাও করা হয়। ওই গ্রুপ কে তৈরি করলো সেটা জানা দরকার। এদিন আদালতে এ বিষয়েই জোরালো সওয়াল করেন। তাঁর দাবি, এ কারণেই আরও জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। দরকার পুলিশ হেফাজত। যদিও সৌরভ চৌধুরীর আইনজীবী বলেন, ১১ তারিখ থেকে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তাঁর মক্কেল। আর আটকে রাখার আর কি কোনও প্রয়োজন আছে? সৌরভের কাছ থেকে অনেক কিছুই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তারপর কী আর কোনও দরকার আছে পুলিশ হেফাজতে রাখার? তাঁর দাবি, সৌরভকে জেল হেফাজত দিলে সমস্যা নেই।
যদিও সওয়াল জবাবের সময় সরকারি আইনজীবী বলেন, মেধাবী ছাত্র হলেই কী আমার অন্যকে ব়্যাগিং করার অধিকার থাকে? ব়্যাগিং করে মেরে ফেলার অধিকার আছে? ব়্যাগিং করার অধিকার নেই। সৌরভ কিংপিন। রিকন্সট্রাকশন চলছে। কি ভাবে ঘটনা ঘটছে তা জানার চেষ্টা চলছে। একজন বোর্ডারের কাছ থেকে ফোন এবং কিছু চ্যাট উদ্ধার হয়েছে। সেটা দেখলেই স্পষ্ট হচ্ছে এদের ভিতরের ষড়যন্ত্র কতটা গভীর ছিল। এটা একটা খুনের কেস। মৃত পড়ুয়ার বাবা অভিযোগে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, তাঁর ছেলেকে ওপর থেকে অত্যাচার করে ফেলে মেরে ফেলা হয়েছে। এরা কাউন্সেলিংয়ের আবেদন করেছেন। কিসের কাউন্সেলিং? এরাই তো এতদিন সবাইকে কাইউন্সেলিং করে এসেছে। কিভাবে জামা, প্যান্ট খুলতে হবে, এসব নিয়েই এরা সবাইকে কাউন্সেলিং করেছে।