কলকাতা: চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে চন্দ্রযান ৩-এর ‘বিক্রম’। সেই মুহূর্ত চাক্ষুষ করার জন্য বুধবার দিনভর অপেক্ষা করেছেন দেশের মানুষ। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র তরফ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে সেই অবতরণের ভিডিয়ো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে সেই সাফল্যের সাক্ষী থেকেছেন। বিরোধীদের অভিযোগ অবতরণের একেবারে শেষ মুহূর্তটা পর্দায় দেখা যায়নি। নাম না করে তৃণমূলের দাবি, ওই মুহূর্তটা ঢেকে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দুঃখও প্রকাশ করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে তৃণমূলের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ইসরো-কে আগাম অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, “দেশের স্বার্থে সবাই এক।” আর বৃহস্পতিবার ইসরো-কে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব আনা হয় বিধানসভায়। সেই প্রস্তাবে আলোচনায় অংশ নেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা এবং মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
চন্দ্রিমা এদিন বলেন, “এটা বিরাট গর্বের ব্যাপার। বহু বাঙালি বিজ্ঞানী রয়েছেন।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “একটু দুঃখ পেয়েছি। কারণ ল্যান্ড করার মুহূর্তটা কেউই দেখতে পায়নি। কারণটা সবাই জানেন।” শুধু চন্দ্রিমা নন, তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য বুধবার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও একই দাবি করেন। নাম না করে তিনি লেখেন, ‘১০০ মিটারের পর থেকে আর কাউন্টডাউন দেখাই গেল না। গোটা স্ক্রিন জুড়ে তাঁর মুখ।’ বিষয়টা ‘বিরক্তিকর’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সমস্ত বিষয় এরা রাজনীতির চোখে দেখে। মোদী-ফোবিয়ায় এরা আক্রান্ত। মানসিক রোগী ছাড়া আর কেউ এসব বলতে পারে না।” শুধু দেশের নয়, বিদেশের কোটি কোটি লোক দেখেছে। এর জন্য গর্ব হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মোদীর জনপ্রিয়তায় আতঙ্কে ভুগে তৃণমূল এসব বলছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, লিখিতভাবে ইসরো-কে অভিনন্দন বার্তা পাঠাচ্ছে রাজ্য বিধানসভা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর জানিয়েছে শুক্রবার এই চিঠি যাবে ইসরোর দফতরে।