কলকাতা: চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। সেই ‘ল্যান্ডিং’ যদি সফল হয়, তাহলে ইতিহাস গড়ে ফেলবে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো। মিশন সফল হলে ইসরোর সঙ্গেই ইতিহাসের পাতায় নতুন করে খোদাই হয়ে যেতে চলেছে ছাত্রমৃত্যতে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নাম। কারণ, এই মিশনেই জুড়ে রয়েছে যাদবপুরের দুই গবেষকের নাম। ডঃ সায়ন চট্টোপাধ্যায় ও ডঃ অমিতাভ গুপ্ত। দুজনেই ইসরোর একটি প্রজেক্টে সফট ল্যান্ডিং নিয়ে কাজ করেছেন। সূত্রের খবর, আগের মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর কীভাবে ফের সহজেই চাঁদের মাটিতে পা রাখতে পারে চন্দ্রযান-৩, সেই নকশা এঁকে দিয়েছেন তাঁরাই। প্রসঙ্গত, প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুর পরই বিতর্কে যাদবপুর। উঠেছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে রাজ্যের ১ নম্বর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কালচার’ নিয়ে। প্রশ্নের মুখে যাদবপুরের ‘মেধাও’। সেখানেই এই যাদবপুর থেকেই চন্দ্র মিশনে দুই গবেষকের নাম আসায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা।
ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন বলছে, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সায়ন চট্টোপাধ্যায় গোটা প্রকল্পের কো-ইনভেস্টিগেটর হিসাবে কাজ করছেন। তিনি জানাচ্ছেন, কীভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে পাখির পালকের মতো অবতরণ করতে পারে চন্দ্রযান সেই গবেষণা তাঁরা অনেকদিন থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের গবষেণার উপর ভিত্তি করেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইসরো। একইসঙ্গে গোটা প্রজেক্টের অংশ হওয়ার জন্য তিনি তাঁর টিমের কৃতিত্বও অস্বীকার করছেন না।
অন্যদিকে ডক্টর অমিতাভ গুপ্ত আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়রিং বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছেন। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন বলছে ল্যান্ডার বিক্রম কীভাবে চাঁদের মহাকর্ষীয় টান সামলে চন্দ্রপৃষ্ঠে সঠিকভাবে অবতরণ করতে পারে সে বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন অমিতাভবাবু। যা বিশেষভাবে সাহায্য করেছে ইসরোর সামগ্রিক মিশনকে। প্রসঙ্গত, কদিন আগে চাঁদে অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে ভেঙে পড়েছিল রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-৩। তারপর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছিল ভারতেও। ইসরো নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে চলেছে চন্দ্রযান-৩।