কলকাতা: চাঁদের মাটিতে নতুন ইতিহাস লিখেছে ভারত। মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে ইসরো। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর বুধবারই ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বৃহস্পতিবার টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এল চন্দ্রযানের সাফল্যের কথা। ইসরোর এই বিরাট কর্মযজ্ঞ যে বাংলার বিজ্ঞানীরাও রয়েছেন সেই কথাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তার মধ্যে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জনও রয়েছেন, সেই কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘আমি ইসরোর সব বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিবিদদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। ওই টিমে আমাদের বাংলার ১২ জন ছিলেন। জলপাইগুড়ির স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করা একজন ছিলেন। এমনকী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন প্রফেসরও আউটস্ট্যান্ডিং কাজ করেছেন। আমরা প্রত্যেকে গর্বিত তাঁদের জন্য। তাঁদের এই কাজের জন্য।’
উল্লেখ্য, গতকালই সন্ধেয় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান ৩। আর তারপর থেকেই গোটা বিশ্বের থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আসছে ইসরোর কাছে। নাসাও অভিনন্দন জানিয়েছে ইসরোকে। চন্দ্রযান ৩ হল প্রথম কোনও নভোযান যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে গিয়েছে। এই কৃতিত্ব ভারত ছাড়া বিশ্বের আর কোনও দেশের এখনও নেই। আর এই বিশাল কর্মযজ্ঞে ইসরোর সাফল্যের পর চন্দ্রযানের গোটা টিমকে গতকালই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার চাঁদে পা রাখার নেপথ্যে বাংলার বৈজ্ঞানিকদের অবদানের কথাও মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইসরোর টিমে বাংলার থেকে ১২ জনের কথা প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপকের কথাও বললেন মমতা। জানালেন, এদের প্রত্যেকের জন্য বাংলা গর্বিত।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন। আর এমন এক আবহেই এবার ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীর মুখে যাদবপুরের কথা।