কলকাতা: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩। মহাকাশ গবেষণায় এক নয়া ইতিহাস গড়ল ভারত। চন্দ্রাভিযানে এই সাফল্যের পর গোটা চন্দ্রযান টিম ও ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একইসঙ্গে বিজ্ঞান-চর্চায় পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে নয়া উদ্যোগ নিচ্ছেন বাংলা সাংবিধানিক প্রধান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সেরা পড়ুয়াকে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল – দুই রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সেরা পড়ুয়াকে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ হিসেবে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত রাজ্যপাল বোসের।
এর পাশাপাশি কলকাতায় রাজভবনে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেলও চালু করা হবে। মূল কাজ হবে রাজ্যবাসীকে বিজ্ঞানচর্চায় আরও বেশি উৎসাহিত করে তোলা। ইসরোর বিজ্ঞানীরা গোটা বিশ্বের দরবারে মহাকাশ গবেষণায় যেভাবে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, সেই কৃতিত্বকে সম্মান জানাতেই এই পদক্ষেপ রাজভবনের। রাজ্যপাল বোস বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার প্রসারে নজর দিয়েছেন। এবার ভারতের চন্দ্রাভিযানে ইতিহাস গড়ার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেল’ চালুর সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের।
রাজ্যপাল এদিন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা বিশ্বকে বুঝিয়েছেন কীভাবে যোগচর্চার মাধ্যমে ‘ইনার স্পেস’-কে জয় করা যায়। আর এবার চন্দ্রযান দেখিয়ে দিল আমরা ‘আউটার স্পেস’-কেও জিততে পারি। আমাদের বিজ্ঞানীরা আজ গোটা দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। বিজ্ঞানের জয়জয়াকার হয়েছে।”
বুধবার সন্ধেয় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফ্ট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান-৩। ভারতই বিশ্বের প্রথম কোনও দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে গেল। আর এই সাফল্যের পর ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের সময়ে ভার্চুয়ালি ইসরোর কন্ট্রোল রুমে যোগ দিয়েছিলেন নমোও। এছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ গোটা দেশের রাজনীতিকরা এমনকী অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতারাও অভিনন্দন জানিয়েছে ইসরোকে।