নামীদামি পণ্যের চাইতে এখন ঘরোয়া টোটকার কদর বেশি। ইউটিউব জুড়ে এখন শুধু হোম রেমেডির রমরমা। আর হবে না-ই বা কেন। বাজেটের সাশ্রয়ের পাশাপাশি পাওয়া যায় নিখুঁত ত্বক। প্রসাধনী কিনতে যা খরচ, তার চেয়ে ঘরে থাকা সাধারণ ও প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই রূপচর্চা সেরে ফেলা যায়। তার উপর উপকার পাওয়া যায় দ্বিগুণ। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। ব্রণ, দাগছোপ থেকে শুরু করে ট্যানের মতো সমস্যা নিমেষে দূর করা যায় ঘরোয়া টোটকায়।
ঘরোয়া প্রতিকারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বেসন, টক দই, হলুদ, গোলাপ জল ইত্যাদি। এগুলো ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করে, মুখে এনে দেয় প্রাকৃতিক আভা। তবে, এমনও কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে, যার সাহায্য না নেওয়াই ভাল। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কোন-কোন জিনিস ত্বকের যত্নে এড়িয়ে চলবেন, রইল টিপস।
দাঁত মাজার মাজন: ব্রণ সারাতে অনেকেই এই পন্থা বেছে নেন। কিন্তু মাজন দাঁত মাজতেই শুধু ব্যবহার করা উচিত। এটা দিয়ে ব্রণ তাড়ানো যায় না। ব্রণর উপর মাজন লাগালে এটি তাৎক্ষণিকভাবে ফোলাভাব কমিয়ে দেয়। কিন্তু এখান থেকে ত্বকে সংক্রমণ ও প্রদাহ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মাজনের মধ্যে পেরোক্সাইড, পিপারমিন্ট, অ্যালকোহল ও কৃত্রিম গন্ধ থাকে, যা কখনওই ত্বকের জন্য উপকারী নয়। বরং, ব্রণ দূর করতে আপনি শুধু পুদিনা পাতা, হলুদ ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর রস: লেবুর রস ব্যবহারে করে ত্বকের যত্ন নেওয়া নতুন বিষয় নয়। দাগছোপ দূর করতে, ব্রণর সমস্যা দূর করতে অনেকেই পাতিলেবু বা কমলালেবুর রস ব্যবহার করেন। অনেক সময় সুফলও পান। কিন্তু এটি আদতে ত্বকের ক্ষতি করে। ত্বকের ভিতরের কোষকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। লেবুর রসের মধ্যে অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। তাই মুখে সরাসরি লেবুর রস লাগাবেন না। এমনকী ফেসপ্যাকে লেবুর রস মিশিয়েও ব্যবহার করা উচিত নয়।
টমেটোর রস: ট্যান দূর করতে, মুখের তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই টমেটো ব্যবহার করেন। কিন্তু টমেটো ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। টমেটোর মধ্যেও অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে। এটি দাগছোপ কমালেও ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দেয়। ত্বককে ভাল রাখতে গেলে টমেটো রস ব্যবহার করা চলবে না।