ফেসওয়াশ শেষ, বন্ধুর জন্মদিনে যাবেন, পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করানো পছন্দ নয়—এই সব সমস্যার সমাধান হল বেসন। বেসনের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গোলাপ জল কিংবা দই মিশিয়ে মুখে মাখলে কাজ শেষ। বেসন ত্বকের গভীরে গিয়ে অতিরিক্ত তেল, ময়লা পরিষ্কার করে, ট্যান ও ব্রণর সমস্যাও দূর করে। এই কারণে যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় বেসন ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, বেসন চুলেরও খেয়াল রাখে? ত্বকের পাশাপাশি স্ক্যাল্প ও চুলের সমস্যার সমাধান রয়েছে বেসনের কাছে। খুশকি, চিটচিটে স্ক্যাল্প, চুল পড়ার মতো সমস্যাকে দূর করতে সহায়ক বেসন। শুনতে অদ্ভুত লাগছে? চুল বেসন ব্যবহারের সঠিক উপায় জানলে ফল মিলবে ১০০ শতাংশ।
স্ক্যাল্পের যত্নে বেসন
চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার করতে শ্যাম্পুই ভরসা। কিন্তু শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে যদি বেসন মাখেন, তাহলে আরও বেশি উপকার পাবেন। বেসনের সঙ্গে দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার বেসনের পেস্ট চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগান। ১০ মিনিট রাখুন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এটি স্ক্যাল্পে জমে থাকা সমস্ত ময়লা, তেল পরিষ্কার করে দেয়। এতে স্ক্যাল্পের চিটচিটে ভাব কমে যাবে। পাশাপাশি খুশকির সমস্যাও ধারে কাছে ঘেঁষবে না। যাঁদের স্ক্যাল্প বা চুল থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, তাঁরা এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
শুষ্ক চুলের যত্নে বেসন
বেসন চুলের ফ্রিজিনেস দূর করতে দারুণ সহায়ক। বেসনের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই ঘন পেস্টটি চুলের আগা থেকে ডগা ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর চাইলে আপনি শ্যাম্পুও করে নিতে পারেন। বেসনের এই হেয়ার মাস্ক আপনার চুলে উজ্জ্বলতা এনে দেবে। পাশাপাশি দু’মুখো চুলের সমস্যাও সমাধান করে দেবে।
চুলের বৃদ্ধিতে বেসন
চুল পড়াকে নিয়ন্ত্রণ করে বেসন। পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে বেসন। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ এনে দেয় বেসন। বেসনের সঙ্গে আমন্ডের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এতে ভিটামিন ই অয়েল, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই হেয়ার মাস্ক চুল ও স্ক্যাল্পে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক আপনার চুলের ভলিউম বাড়িয়ে তুলবে।