এখন চুলের খেয়াল রাখছে নারকেল তেল ও পাতিলেবু। শুনতে অদ্ভুত লাগছে? কিন্তু এই কম্বোই এখন ট্রেন্ডিং। আপনি যদি ঘরোয়া টোটকায় চুলের যত্ন নিতে চান, তাহলে লেবুর রস ও নারকেল তেলই এখন সেরা। এতে কোনও রকম ক্ষতিকারক কেমিক্যাল নেই। তাই আপনার চুল ও স্ক্যাল্পের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। বরং, আপনি যদি পুজোর আগে ঘন ও লম্বা চুল পেতে চান, তাহলে আজ থেকেই নারকেল তেল ও পাতিলেবুর সাহায্য নিন। এই সংমিশ্রণ আপনার চুল ও স্ক্যাল্পের সমস্যাকে গোড়া থেকে নির্মূল করে দেয়।
নারকেল তেলের উপকারিতা-
নারকেল তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড ও লাউরিক অ্যাসিড রয়েছে, যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া নারকেল তেল চুলের ফলিকলকে ময়েশ্চারাইজড করে এবং দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। স্ক্যাল্পে নারকেল তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। তাই চুল বাড়ে জলদি। এছাড়া ভিটামিন ই, কে ও আয়রনের মতো পুষ্টিতে ভরপুর নারকেল তেল। রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এগুলো খুশকি ও উকুন তাড়ায়।
লেবুর রসের উপকারিতা-
অন্যদিকে, লেবুর রসের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোলাজেন উৎপাদন সাহায্য করে। এই কোলাজেন চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পাশাপাশি লেবুর রস চুলের ফলিকল ও ওপেন পোরসকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এমনকী চুলের ফলিকলকে মজবুত করে তোলে। এতে চুল পড়ার সমস্যা কমে। অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকায় লেবুর রস মাখলে খুশকি ধারে কাছে ঘেঁষে না।
চুলে যত্নে যেভাবে নারকেল তেল ও লেবুর রস ব্যবহার করবেন-
নারকেল তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে ব্যবহার করলে আপনি চুল পড়া, খুশকি, স্ক্যাল্পে চুলকানির সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পেয়ে যাবেন। ১ চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ৩ চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্ক্যাল্প ও চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন। স্ক্যাল্পে লেবুর রস ও নারকেল তেল লাগানোর পর ভাল করে মালিশ করুন। ১ ঘণ্টা রেখে দিন। তারপর হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। সেরা ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ১ দিন করে এভাবে নারকেল তেল ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এতেই কমে যাবে আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা।