ক্যালেন্ডারের পাতা আর উইকিপিডিয়া বলছে বছর তিনেক আগে তাঁর বয়স ছিল চল্লশের থেকে কিছু বেশি। বর্তমানে ৪৫ এর ঘরে রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান। এপার বাংলা-ওপার বাংলা-সর্বত্রই তাঁর সমান জনপ্রিয়তা। কথায় বলে, মনের বয়স বাড়লেও দেহের বয়স বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। জয়া কিন্তু সেই একই ধারা বজায় রেখে চলছেন। দিনের পর দিন তাঁর বয়স যেন কমছে। কে বলেছে যে কুড়ি পেরোলেই মেয়েরা বুড়ি! জয়া এসব ধারণা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন।
শরীরচর্চা, ডায়েটের মাধ্যমে জয়া তাঁর শরীরে একেবারেই অতিরিক্ত মেদ তিনি জমতে দেন নি। জয়ার সৈন্দর্য তাই হার মানাবে ষোড়শীদেরও। যত দিন বাড়ছে ততই যেন জয়ার গ্ল্যামার বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে তাঁর এক্সপেরিমেন্টও। একটা সময় সকলেই জয়াকে মনে করতেন পাশের বাড়ির মিষ্টি মেয়ে। একটা সময় জয়াও নিজে বলেছিলেন যে এই ধারণা থেকে তিনি নিজেও বেরোতে চান। জয়া অভিনীত চরিত্রগুলি একরকম, আবার জয়া ফ্যাশান শ্যুট যেভাবে করেন সেখানে তাঁকে একেবারেই অন্যরকম লাগে। প্রতি পোশাকে জয়ার আত্মবিশ্বাস দেখার মত।
হালকা সবুজ আর আইভরি রঙের মিশেলে দারুণ একটি ড্রেস পরেছেন জয়া। আর এই ড্রেসে তাঁকে দেখাচ্ছেও ভীষণ মিষ্টি। সবথেকে বেশি আকর্ষণীয় হল জামার সামনের কাজটি। সিক্যুইনের কাজ করা এই ড্রেসটি দেখতে খুবই সুন্দর। সবথেকে আকর্ষণীয় জামার সামনের প্রজাপ্রতি। বয়স বাড়লেও মন যে এখনও সেই প্রজাপ্রতির মতই রয়ে গিয়েছে তাই যেন ধরা পড়েছে সেই ছবিতে। এই ড্রেসটির সঙ্গে খুব ভাল মেকআপও করেছেন তিনি। সুন্দর করে চোখে আইলার দিয়েছেন, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক।
চুলে হাত খোঁপা করে উপরে তুলে আটকে নিয়েছেন। এতে তাঁকে দেখতেও লাগছে বেশ সুন্দর। এই পোশাকে জয়া এত সুন্দর করে পোজ দিয়েছেন যে তাও দেখার মত। ইনস্টাগ্রামে জয়া তাঁর যে সব ছবি শেয়ার করেন তার মধ্যে অধিকাংশই থাকে এমন সুন্দর ওয়েস্টার্নে। জয়াকে এতই সুন্দর লাগছে যে তার থেকে চোখ ফেরানো দায়। জয়ার এই ছবিতে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সকলে।