১৫ অগস্ট পেরিয়ে যাওয়ার অর্থই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়া। চারিদিকে এখন সেলের মরশুম। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় চলে এক্সজিবিশনও। পুজোর কেনাকাটাও তাই ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ছুটির দিনে অর্থাৎ শনিবার-রবিবারে গড়িয়াহাট টু এসপ্ল্যানেডের ভিড় দেখে সেই কথাই মনে হয়। যাঁরা রেডিমেড পোশাক পরেন না, দর্জির কাছ থেকে পছন্দের ডিজাইনে জামা বানিয়ে পরতে পছন্দ করেন তাঁদের আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে কেনাকাটা সেরে ফেলতে হবে। নইলে পুজোর সময় পোশাক হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। পুজোর আগে প্রতিটি ডিজাইনার, দর্জির কাছেই খুব চাপ থাকে। তাড়াহুড়োতে জিনিস ভালও হয় না। তাই আগে থেকেই কেনাকাটা শুরু করুন। শাড়ির ব্লাউজ, কুর্তি, সালোয়ার এসব এখন থেকে বানাতে দিলে তবেই পছন্দমতো তৈরি হবে।
কলকাতার প্রচুর জায়গাতেই সুলভে শাড়ি, সালোয়ার, কুর্তি, ডিজাইনার ব্লাউজ এসব পাওয়া যায়। তবে এর মধ্যে এথনিক পোশাকের পীঠস্থান হল দক্ষিণাপন। ঠিকঠাক দামের মধ্যে এবং সুন্দর ডিজাইনে এথনিক পোশাক এখানে যত ভাল পাবেন তা আর অন্য কোথাও পাবেন না। দক্ষিণাপনে পুজোর কালেকশন ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। আর তাই হাতে সময় থাকলে একবার অবশ্যই ঘুরে আসুন। হ্যান্ডলুম শাড়ির প্রচুর দোকান রয়েছে এখানে। এছাড়াও পছন্দমতো খাঁটি সিল্ক সঠিক দামে পেয়ে যাবেন এখান থেকেই। আর তাই পছন্দের শাড়ি আজই কিনে নিন। এরপর এখানেই টেলরের কাছে দিতে পারবেন ফলস-পিকোর জন্য। শাড়ির পিস থেকে নিজের পছন্দমতো ডিজাইনার ব্লাউজ বানিয়ে নিতে পারেন। অথবা ব্লাউজের জন্য যেতে পারেন কোনও দোকানেও। এখানে ডিজাইনার ব্লাউজের অনেক দোকান রয়েছে। সেখান থেকে অনায়াসেই আপনি কিনে নিতে পারবেন। অন্য শাড়ির জন্য পছন্দসই ডিজাইনার ব্লাউজ এখানে যে দামে পাবেন তা আর অন্য কোথাও পাবেন না।
এছাড়াও পছন্দের কুর্তি, পালাজো, শর্ট টপ, স্কার্ট- যাবতীয় এথনিক পোশাক দারুণ ডিজাইন, রং এবং কোয়ালিটিতে পেয়ে যাবেন এখানে। শুধু শাড়ি-জামা নয়, এর সঙ্গে ম্যাচিং গয়নাও কিনে নিতে পারবেন এখান থেকে।