সামনেই লং উইকএন্ড। আর তাই প্রচুর মানুষ ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। প্রায় সর্বত্রই ঠাঁই নেই অবস্থা। কেউ যাচ্ছেন রোড ট্রিপে আবার কেউ উইকএন্ড ট্রিপে। মোটকথা শুক্রবার বিকেল থেকেই প্রায় সকলে ব্যাগ প্যাক করছেন। শনি-রবি ছুটি তো আছেই। সঙ্গে উপরি পাওনা ১৫ অগস্ট। শুধু সোমবার একটা ছুটি ম্যানেজ করে নিতে পারলেই কেল্লাফতে। তারপর সমুদ্র, পাহাড়, জঙ্গল যেখানে খুশি গাড়ি হাঁকিয়ে যান। কোভিন পরবর্তী সময়ে মনসুন ট্রিপ এখন খুবই জনপ্রিয়। হাতে দু দিন সময় থাকলেই হল। এই বর্ষায় প্রকৃতি যে একদম অন্য সাজে সজ্জিত হয় তা বলাই বাহুল্য। চারিদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ, এর মাঝে নিজেকে হারিয়ে দিতে পারলেই হল। এখন সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ভীষণ সচেতন। শুধু ভাল করে ঘুরলেই চলবে না ভাল ভাল কিছু ছবিও চাই।
ছোট ট্রিপ হলে যত কম ল্যাগেজ হবে ততই ভাল। আর পোশাকের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে তা যেন আরামদায়ক হয়। তাই এমন দিনে রোড ড্রিপ হলে বেছে নিতে পারেন কাফতান। আজকাল অনেক রকম কাফতান পাওয়া যায়। মিড লেন্থ সুতির কাফতান এত রকম পাওয়া যায় যে তা দেখতেও বেশ লাগে। রেয়ন কাপড়েরও কাফতান মেলে। আর এমন কাফতান জলে ভিজলে শুকোতে খুব বেশি সময় লাগে না। কাফতানের সঙ্গে গয়নাও বিশেষ লাগে না। কানে স্টাড বা হুপস পরতে পারেন। রোদ-জলের হাত থেকে চুলকে রক্ষা করতে একটা ব্যান্ডানা পরুন, পায়ে স্নিকার্স, চোখে সানগ্লাস। ব্যাস ট্রাভেল লুক এক্কেবারে কমপ্লিট।
ফ্যাশনেবল, আরামদায়ক ছাড়াও কাফতান পরার আরও একটা সুবিধে আছে। ঢিলেঢালা হওয়ার সুবাদে অতিরিক্ত মেদও সহজে লুকিয়ে নিতে পারবেন। বাটিক, বাঁধনি থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্রিন্ট- পছন্দসই কাফতান পেয়েই যাবেন দামের মধ্যে। তুর্কি শাসনকালে এই কাফতান খুবই জনপ্রিয় ছিল। এমনকী ইতিহাস ঘেঁটে তুরস্ক সভ্যতার যে নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে সেখানেও কাফতানের উল্লেখ রয়েছে। পরবর্তীতে আলজেরিয়াতে মহিলারা প্রথম এই বিশেষ পোশাক পরেন। এরপর থেকে রাজা-রাজড়াদের পোশাক মেয়েদের ফ্যাশন দুনিয়ায় জাঁকিয়ে বসে। কয়েক বছর ধরে কাফতান টপ, কুর্তি, ড্রেস ভীষণ ভাবে ইন ফ্যাশনে।