বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজা। এখন আর শুধু বাংলা কিংবা বাংলার বাইরে নয় বিশ্বের যে প্রান্তে বাঙালি রয়েছে সেই সবজায়গাতেই এখন দুর্গাপুজো হয়। এই পুজোকে ঘিরেই কত মানুষের রুটি-রুজি। একটা পুজো যায় আর পরিকল্পনা চলতে থাকে পরের বছরের জন্য। পুজোর থিম, প্যান্ডেল, সাজগোজ এই সবকিছু নিয়ে পরিকল্পনা চলতেই থাকে। প্রতি বছর পুজোর ফ্যাশনে নতুন কিছু না কিছু যোগ হয়। সফট সিল্ক, পৈঠানি, কাঞ্চিপুরম, পাট্টু, হ্যান্ডলুমের শাড়ি এসব এবার রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ে। পুজোয় যতই কুর্তি, সালোয়ার, টপ, স্কার্ট এসব কেনা হোক না কেন একটা না একটা শাড়ি মেয়েরা কিনবেনই। নতুন শাড়ি পরে তবেই হবে অষ্টমীর অঞ্জলি। এছাড়াও পুজোয় উপহার দেওয়ার চল রয়েছে। বড়দের প্রণামী হিসেবে েখনও শাড়ি, ধুতি দেওয়ার চল রয়েছে।
ষষ্ঠী টু দশমী অনেকেই পুজোয় শাড়িতে সাজেন। আবার শাড়ি, সালোয়ার, কুর্তি এসবও থাকে তালিকায়। যদিও পুজোতে অধিকাংশই এথনিক পরতে পছন্দ করেন। আর এই এথনিকের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে শাড়ি। ষষ্ঠীর বোধন, সপ্তমীর প্যান্ডেল হপিং, অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর আড্ডা, দশমীর বিজয়া- এই এক একটা দিনের জন্য এক একরকম শাড়ি রাখা থাকে। হ্যান্ডলুম আর সিল্ক পুজোয় সবচাইতে বেশি সুন্দর লাগে। পুজোয় কেমন করে সাজবেন তার জন্য নানা শ্যুট শুরু করেছেন তারকারা। তারই কিছু ঝলক থাকল আপনার জন্য।
বেগুনি রঙের কাতান সিল্কে খুব সুন্দর লাগছে কোয়েলকে। শাড়ি জুড়ে রয়েছে জরির কাজ। সপ্তমীর বিকেল কিংবা অষ্টমীর সকালে এমন শাড়ি পরতে পারেন। দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। এমন ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ির সঙ্গে চুলে খোঁপায় জুঁই এর মালা, কুন্দনের গয়নায় দেখতে বেশ লাগে। এছাড়াও পুজোয় যে কোনও দিন মিমির মত স্টাইল করে পরতে পারেন ঢাকা জামদানি। এমন শাড়ি পুজোয় দারুণ একটা স্নিগ্ধতা নিয়ে আসে। শ্রাবন্তীকে যে কালো শাড়িটি পরেছেন তা হল মটকা বেনারসি শাড়ি । নবমীর সন্ধ্যায় এমন শাড়ি দারুণ লাগে। সঙ্গে ভারী গয়নায় সাজুন। পুজোয় শাড়ি কিনতে যাওয়ার আগে মাথায় রাখুন, সেই ভাবে শপিং করুন। পুজোয় মনের মতন করে সাজতে কিন্তু ভুলবেন না।