প্রতি বছরই পুজোয় কোনও না কোনও পোশাক থাকে ফ্যাশনে ইন। হতে পারে তা কোনও সিরিয়ালের কোনও নায়িকার পছন্দের পোশাক। বাহা শাড়ি, পুপে চুড়ি, পাখি সালোয়ার এসব এক এক সময়ে জনপ্রিয় হয়েছে পুজোয়। শুধু টলিউড নয়, বলিউডের পোশাকেরও ছাপ থাকে পুজোর মার্কেটে। জিন্স, ড্রেস থেকে শুরু করে কুর্তি- যত রকমই পোশাক থাক না কেন ভারতীয় মেয়েদের শাড়িতে যত ভাল লাগে তা আর অন্য কোনও পোশাকে লাগে না। প্রতিটি মেয়েকেই শাড়িতে খুব সুন্দর লাগে। আনেক আগে আটপৌরে কায়দাতেই শাড়ি পরতে অভ্যস্ত ছিলেন মেয়েরা। এখন নানা কায়দায় শাড়ি পরা যায়। একটা প্লিট করে শাড়ি পরা যায়, আঁচল ছেড়ে পড়া যায়, লং ব্লাউজের সঙ্গে শাড়ি পরা যায়, জিন্স দিয়ে পরা যায়। যত রকমের একেসপেরিমেন্ট চলে তা কিন্তু শাড়িতেই হয়।
পরার সুবিধের জন্য রেডি টু ওয়্যার শাড়ি, লেহঙ্গা শাড়ি এসবও পাওয়া যায় মার্কেটে। অনেকেই এমন আছেন যাঁরা নিজেরা শাড়ি পরতে পারেন না। সেক্ষেত্রে শাড়ি শুধু প্যান্টের মত গলিয়ে নিতে পারলেই কাজ চলে যায়। দেখে কিছু বোঝার উপায়ও থাকে না। এই রকম শাড়ি পরে দ্রুত তৈর হয়ে নেওয়া যায়। যে কারণে অনুষ্ঠান বাড়িতে যাওয়ার আগে অনেকেই এমন শাড়ি বেছে নেন। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন হল ধোতি শাড়ি। ধোতি প্যান্ট বহুকাল আগে থেকেই ফ্যাশনে ইন। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে এই প্যান্ট পরেন। গরমের দিনে তা বেশ আরামদায়কও। কিছুদিন আগেই কলকাতার বিখ্যাত এক ফ্যাশন ডিজাইনার মডেলদের ধুতি পরিয়ে বিশেষ ফটোশ্যুট করিয়েছিলেন। এবার তাি পুজোর বাজারে হিট এই ধোতি শাড়ি। কিছু ডিজাইনার ধুতি শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে যা ওভাবেি বানানো। গলিয়ে নিলেই কাজ হয়ে যাবে। আর সিল্কের শাড়ি অনেকে ধুতির কায়দায় পরছেন। ভারতনাট্যমের পোশাকে এই ধুতির কায়দাতেই শাড়ি পরা হয়। কোঙ্কনি মহিলারা শাড়ি ধুতির মত করে পরেন।
বর্তমানে পছন্দের সিল্ক শাড়ি ধুতির মত করেই পরা হল ফ্যাশন। ইউটিউবে প্রচুর ভিডিয়ো রয়েছে । এই কায়দায় শাড়ি কীভাবে পরলে সহজ হবে কাজ সেই ধারণা ভিডিয়ো থেকেই পেয়ে যাবেন। তবে এভাবে শাড়ি পরলে কোমরবন্ধনী পরতে ভুলবেন না। নইলে দেখতে ভাল লাগবে না। নইলে পছন্দের বুটিক বা ডিজাইনারের থেকে সরাসরি শাড়িও কিনতে পারেন। দাম কিন্তু সাধ্যের মধ্যেই। সাউথ ইন্ডিয়ান সিল্ক এই কায়দায় পরলে দেখতে বেশি ভাল লাগে।