পুজো আসতে হাতে গোনা আর মাত্র দু মাস বাকি। পাড়ায় প্যান্ডেলে বাঁশ পড়তে শুরু করেছ্। কুমোরটুলিতে ঠাকুর গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। বাজারে চলছে দেদার সেল। প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস পেরনো মানেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়া। সামনে এখন উৎসবের মরশুম। রাখী, ঝুলন, জন্মাষ্টমী, গণেশ পুজো। আর এই সময় সকলেই চান তাঁর বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলে একেবারে স্লিম অ্যান্ড ট্রিম হতে। বাড়তি ওজন এমনিই শরীরের পক্ষে ভাল নয়। পাশাপাশি ওজন বাড়লে সেখান থেকে আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। শরীরে যদি মেদ অতিরিক্ত থাকে তখন আত্মবিশ্বাস যেমন কমে যায় তেমনই কোনও পোশাকেই ভাল লাগে না। জিম এখন পাড়ায় পাড়ায়। আগস্ট পড়তেই জিমে যাওয়ার ধুম বেড়েছে। তবে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে ডায়েটও। রোজকার পাতে এই সব খাবার রাখলে তবেই ওজন কমবে দ্রুত।
ওজন কমিয়ে ফিট থাকতে চাইলে ডায়েটে প্রথমেই প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে রাখতে হবে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্যালোরি মেপে খেতে হবে। ক্যালোরি মোটেই বেশি খাওয়া যাবে না। কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাস্টফুড এই সব অন্তত দু মাস ছুঁয়েও দেখবেন না। বার বার গ্রিন টি খান। তবেই কিন্তু ওজন ঝরবে।
খেতে ভাল আর শরীরের জন্যেও ভাল মাংস। তাই বলে রেড মিট নয়, বেশি করে চিকেন খেতে হবে। চিকেনের ব্রেস্ট পিস খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি তেল-মশলা দিয়ে চিকেন বানাবেন না। স্ট্যু বা হালকা মশলা দিয়ে রান্না করে খান। চিকেনের মধ্যে প্রোটিন বেশি, ক্যালোরি কম। ফলে তা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে।
প্রোটিনের আরও একটি ভাল উৎস হল ডিম। রোজ নিয়ম করে ডিম খেতে হবে। ওমলেট বা পোটের পরিবর্তে ডিম সেদ্ধ করে খান। দিনের মধ্যে দুটো বা তিনটে ডিম খান। ডিমের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ- যা আমাদের শরীরের জন্য খুব ভাল।
মাছের মধ্যেও থাকে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন। স্যামন মাছ এক্ষেত্রে সবচাইতে ভাল। তাই এই মাছ বা রুই, কাতলা খান।
কম ক্যালোরির খাবারের মধ্যে রয়েছে পনির। পনির খেলে শরীরে ক্যালশিয়ামের চাহিদাও পূরণ হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের ডাল, কুইনোয়া, বিভিন্ন বাদাম, গ্রীক ইয়োগার্ট, চিংড়ি এসব রাখুন ডায়েটে। না খেয়ে ওজন কমে না। পরিমাণ বুঝে আর সঠিক সময়ে খেলে তবেই কমবে ওজন।